চলতি বছরের জানুয়ারিতে পারিবারিকভাবে বিয়ে রেজিস্ট্রি হয়েছিল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জান্নাতুল ফেরদৌস মৌমিতার। পরিবারের প্রত্যাশা ছিল একমাত্র মেয়েকে জাকজমকপূর্ণ আয়োজনের মধ্য দিয়ে শশুরবাড়িতে পাঠানোর। কিন্তু সেই স্বপ্ন পূরণ হলো না। মাত্র ৩০ বছর বয়সেই পৃথিবী ছেড়ে চলে গেলেন তিনি।
শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) বাদ এশা পাবনা পৌর এলাকার নিজ মহল্লা কাচারীপাড়া মসজিদে দ্বিতীয় জানাজা শেষে আরিফপুর কবরস্থানে জান্নাতুল ফেরদৌস মৌমিতাকে দাফন করা হয়।
যে বাড়িতে বিয়ের আনন্দ-উৎসব হওয়ার কথা ছিল, সেই পাবনার বাড়িতে এখন চলছে শোকের মাতম। জান্নাতুল ফেরদৌস মৌমিতা পাবনার বিশিষ্ট সাংবাদিক, পাবনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক ইত্তেফাকের প্রতিনিধি, অবসরপ্রাপ্ত সহকারী অধ্যাপক রুমি খন্দকার এবং পাবনা কলেজের সাবেক সহকারী অধ্যাপক লুৎফুন্নাহার পলির একমাত্র সন্তান।
১৯৯৫ সালে জন্ম নেওয়া মৌমিতা ছোটবেলা থেকেই মেধাবী ছাত্রী ছিলেন। ২০০৯ সালে পাবনা সরকারি বালিকা বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং ২০১১ সালে পাবনা মহিলা কলেজ থেকে গোল্ডেন জিপিএ-৫ অর্জনের পর ভর্তি হন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানেই অনার্স ও মাস্টার্স শেষ করে ২০২১ সালে চারুকলা বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন।
বাবা রুমি খন্দকার জানান, নির্বাচনের দায়িত্ব শেষে রাত ১২টার দিকে মৌমিতা শিক্ষক কোয়ার্টারে বাসায় ফেরেন। সকালে ভোট গণনার কক্ষে ডাকার পর সেখানে যেতে গিয়ে দরজার সামনেই হঠাৎ পড়ে যান তিনি। দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার আগেই তার মৃত্যু হয়।
তিনি জানান “ভোটগ্রহণ শেষে গতকাল রাতে আমার সঙ্গে ওর কথা হয়। নির্বাচন নিয়ে বেশ খুশি ছিল সে,”
আই/এ