হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর আগমন মানবজাতির জন্য আলোকিত বিস্ময় ও মুক্তির বার্তা। তিনি দুনিয়ার সমস্ত অন্যায়, অবিচার, কুসংস্কার ও বৈষম্যের অন্ধকার যুগ থেকে মানুষকে পরিত্রাণ দিয়েছেন। তাই তিনি মানবতার মুক্তির দিশারি। বলেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বৃহস্পতিবার রাতে (৪ সেপ্টেম্বর) পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী উপলক্ষ্যে দেওয়া এক বাণীতে তারেক রহমান বাংলাদেশের পাশাপাশি বিশ্বের মুসলমানদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
পাঠকের সুবিধার্থে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে শেয়ার করা তার বাণী হুবহু তুলে ধরা হলো-
ঈদে মিলাদুন্নবী, এই দিনটি মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এঁর দুনিয়াতে আগমনের আনন্দ ও তাঁর জীবন থেকে শিক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে উদ্যাপন করা হয়। যিনি মানবজাতিকে পরিশোধন করেন এবং তাদের সর্বশ্রেষ্ঠ গ্রন্থ কোরআন ও কাজের কথা শিক্ষা দেন। পৃথিবীতে সৃষ্টির সেরা মানব বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এঁর আগমন দিবস মর্যাদাবান, গুরুত্ববহ এবং আনন্দের। আল্লাহ’র প্রতি ঈমান ও মানবতার পথপ্রদর্শনকারী মহানবীর ধরাপৃষ্ঠে আবির্ভাবের দিন আজ। তিনি সারা বিশ্বের জন্য রহমতস্বরূপ, আমাদের জন্য আল্লাহ’র পক্ষ থেকে সব থেকে বড় উপহার বা এহসান। আল্লাহ তা’আলা তাঁকে দিয়েছেন মহিমান্বিত মর্যাদা। পৃথিবীতে মানুষ ইহজগত ও পরজগতের মুক্তির সন্ধান পায় এই দিনে। হজরত মুহম্মদ (সা.) এঁর আবির্ভাব ছিল একটি আলোকিত বিস্ময়। মানবজাতি তাঁর আগমনে নিজেদের কল্যাণ ও শান্তির নিশ্চয়তা লাভসহ জগতের সমস্ত অন্যায়-অবিচার, কুসংস্কার, নিপীড়ণ-নির্যাতন এবং বৈষম্যের ঘোর অন্ধকার যুগ থেকে নিষ্কৃতি লাভের সন্ধান পায়। সেজন্যই তিনি হয়েছেন মানবতার মুক্তির দিশারী।
মানুষ ন্যায় ও সৎ পথে চলার অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত লাভ করে রাসুলের (সা.) দেখানো পথে। নিজ যোগ্যতা, সততা, মহানুভবতা, সহনশীলতা, কঠোর পরিশ্রম, আত্মপ্রত্যয়, অসীম সাহস, ধৈর্য্য, সৃষ্টিকর্তার প্রতি অগাধ বিশ্বাস, নিষ্ঠা ও অপরিসীম দুঃখ যন্ত্রণা ভোগ করে তিনি তাঁর উপর অবতীর্ণ সর্বশ্রেষ্ঠ মহাগ্রন্থ আল-কোরআনের বাণী তথা তওহীদ প্রতিষ্ঠার মহান দায়িত্ব পালন করেন। অন্ধকারের যুগ তথা আইয়ামে জাহেলিয়াতের আমলে আইন, বিচার ও প্রশাসনসহ সর্বক্ষেত্রে বিদ্যমান ব্যভিচার-অনাচারের অরাজকতা বিরাজমান ছিল। এই সময় যাঁর আগমন হয়েছিল তিনি হলেন রহমাতুল্লিল আলামীন। তিনি আইয়ামে জাহেলিয়াতের অন্ধকার যুগ দূরীভূত করে ইসলাম কায়েমের মাধ্যমে সত্য, ন্যায়বিচার ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। সমাজে অবহেলিত, নির্যাতিত, বঞ্চিত ও দু:খী মানুষের সেবা, পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন, পরমতসহিষ্ণুতা, দয়া ও ক্ষমা গুন, শিশুদের প্রতি দায়িত্ব এবং নারী জাতির মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় মহানবী (সা.) এঁর আদর্শ অতুলনীয় এবং তাই তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানব হিসেবে স্বীকৃত।
আমি আল্লাহ রাব্বুল আল-আমিনের নিকট প্রার্থনা করি মহানবী (সা.) এঁর শিক্ষা, আদর্শ ও ত্যাগের মহিমা আমরা সবাই যেন নিজেদের জীবনে প্রতিফলন ঘটাতে পারি। আমি পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষ্যে বাংলাদেশসহ বিশ্বের মুসলিম ভাই-বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
আমি শেষ নবী সাইয়েদুল মুরছালিন হজরত মোহাম্মদ (সা.) এর জন্য অসংখ্য দরুদ ও তাঁর প্রতি সালাম জানাই।
আল্লাহ হাফেজ, বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।
এমএ//