জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন,গণ-অভ্যুত্থানের সময়ে খুব অল্পসময়ে খুনি হাসিনা পালিয়ে গিয়েছিল। এজন্য ওই সময় আমাদের কিছু সিদ্ধান্ত দ্রুত নিতে হয়েছিল। কিন্তু এখন আমরা প্রত্যেকটা স্টেপ পর্যবেক্ষণ করছি। কোন মিডিয়া কার হয়ে কাজ করছে, কোন প্রশাসন জনগণের উদ্দেশ্য সার্ভ না করে কোনও ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর উদ্দেশ্য সার্ভ করছে—সেটা আমরা পর্যবেক্ষণ করছি।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) টাঙ্গাইল শহরের নিরালা মোড়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সারজিস বলেন, ‘আমাদের কাছে চাঁদাবাজির একটাই পরিচয়, সেটা হচ্ছে তারা চাঁদাবাজ। এই বাংলাদেশে আর কোনও চাঁদাবাজি করতে দেওয়া হবে না। কেউ যদি চাঁদাবাজকে প্রটেকশন দেওয়ার চেষ্টা করে, তাদের চাঁদাবাজির ভাগীদার হিসেবে বিবেচিত করা হবে।’
তিনি বলেন, টাঙ্গাইল জেলা বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ জেলাতে থাকতে পারতো। কিছু দলীয় স্বার্থ হাসিল করতে এত বড় একটি ঐতিহ্যবাহী জেলার স্বার্থকে বিসর্জন দিতে হয়েছে। শুধু বাংলাদেশ নয়, দেশের বাইরেও এই টাঙ্গাইলের ঐতিহ্যবাহী তাঁতশিল্পের পরিচিতি রয়েছে। শুধু প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে এই তাঁতশিল্পকে ধীরে ধীরে ধ্বংস করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘টাঙ্গাইলে মারুফ হত্যার আসামিদের ধরার তৎপরতা আমরা লক্ষ করিনি। এখনও টাঙ্গাইলের কিছু ব্যক্তি কিছু দল কিছু গোষ্ঠী জুলাই-আগস্টের নিহতদের বিচারকে সামনের দিকে নিতে বাধাগ্রস্ত করছে। তারা মামলা বাণিজ্য করছে। আমরা চিনে রাখছি কারা এই মামলা বাণিজ্য করছে’।
এর আগে, তারা টাঙ্গাইল সার্কিট হাউসের সামনে থেকে পদযাত্রা নিয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে সমাবেশস্থল শহীদ মিনার চত্বরে আসেন এনসিপি নেতা কর্মীরা।
আই/এ