জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জোটের বিষয়ে আলোচনা এখনো চলছে। যারা সংস্কারের পক্ষে থাকবে, জুলাইয়ের আকাঙ্খার পক্ষে থাকবে, ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে মুসলিম সেন্টিমেন্ট ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির রাজনীতি যারা ধারণ করতে পারবে তাদের সাথে এলায়েন্সের পথ এখনো খোলা আছে। খুব শিগগিরই এটার আমরা সুন্দর সমাধান দেখতে পাবো।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে পঞ্চগড় জেলা শহরের শেরে বাংলা পার্ক এলাকায় জুলাই স্মৃতিস্তম্ভের পাদদেশে এনসিপির সুপারিশে উন্নয়ন বরাদ্দ পাওয়া বিভিন্ন মসজিদের মন্দিরের তালিকা প্রকাশ ও প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় শেষে এ কথা বলেন তিনি।
সারজিস বলেন, মাঝে আমাদের জোট ঘোষণার কথা ছিলো। কিন্তু এই জোট ঘোষণার যে রূপরেখা ও বিস্তৃতি আরও বড় হওয়া প্রয়োজন মনে করি। আশা করছি শিগগিরই বড় আকারে জোট প্রকাশিত হবে।
তিনি বলেন, আগামী শনিবারের মধ্যেই তিনশ আসনে এনসিপির মনোনয়ন চূড়ান্ত করবে। সেই সাথে ডিসেম্বরের মধ্যে তা প্রকাশ হবে। এনসিপি সৎ,যোগ্য, যারা বাংলাদেশের পরিবর্তন করতে চায়,স্বচ্ছ্ ধারার রাজনীতি করতে চায় বাস্তবায়নের মানুষের জন্য কথা বলতে সংসদে গিয়ে কথা বলতে চায় কাজ করতে চায়। আমরা তাদেরকে মনোনয়ন দিতে পারব এবং জনগণের ভোটের মাধ্যমে তারা বিজয়ী হয়ে আগামীতে জনগণের প্রতিনিধিত্ব করবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের তিনটি বৃহৎ রাজনৈতিক দল রয়েছে। তার মধ্যে বিএনপির জামায়াত এবং এনসিপি রয়েছে। বিএনপি এবং এনসিপি মধ্য পন্থার রাজনীতি করে। আর জামায়াত তাদের জায়গা থেকে ধর্ম ভিত্তিক করে, ইসলামিক রাজনীতি করে কোন সমস্যা নেই। আলাদা আলাদা আইডিওলজি থাকতে পারে এটা নিয়েও কোন সমস্যা নেই। কিন্তু কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে। আমরা যাতে নিজের আদর্শটা অন্যের উপর চাপিয়ে দিতে চেষ্টা না করি। চেষ্টার ফল ভয়াবহ। এই চেষ্টা যদি আমরা করতে চাই অনেক দীর্ঘ মেয়াদে বাংলাদেশের দৃশ্য দেখতে পাচ্ছি না। যেভাবে শেখ হাসিনা দেখে নাই। মনে করেছিল আমৃত্যু তাকে কেউ সরাতে পারবে না। কিন্তু যেই কয়েকটা ছেলে বা শিক্ষার্থীদেরকে তারা হিসেবেই করে নাই তাদের দিয়েই তাদের পতন হয়েছে।
এ এনসিপি নেতা বলেন, আমরা গত তিন মাসে দুইশো মসজিদ মন্দিরের জন্য প্রায় ৪ কোটি টাকা বরাদ্দ এনেছি। যা গত বিশ বছরে বড় বড় এমপি মন্ত্রীরা আনতে পারেনি।
এ সময় এনসিপির জেলা ও উপজেলার নেতাকর্মী ও জাতীয় যুব শক্তির নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন মসজিদ মন্দিরের কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আই/এ
