কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, হামলা, ভাঙচুর, সংঘর্ষ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ২০২৪ সালের ২৪ জুলাইও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ‘চিরুনি অভিযান’ চালায়। ১৭ থেকে ২৪ জুলাই সারাদেশে গ্রেপ্তার করা হয় প্রায় সাড়ে চারহাজার জনকে। সেদিন ঢাকাসহ তিন জেলায় সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল ছিল। অন্যান্য জেলাতেও জেলা প্রশাসকদের নির্ধারিত কয়েক ঘণ্টা কারফিউ শিথিল থাকে।
৫ দিন পর ২৪ জুলাই রাতে সারাদেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালু করে বিটিআরসি। তবে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয়।
সেদিন চিকিৎসাধীন আরও চারজনের মৃত্যু হয়। সবমিলিয়ে ২০১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। তাদের মধ্যে আটজনের পরিচয় জানা যায়নি। মরদেহগুলো বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হয়।
এদিন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন দেশের শীর্ষস্থানীয় সাংবাদিকরা। সরকারি অফিস ও ব্যাংক চার ঘণ্টার জন্য খুলে দেওয়া হয়।
পুলিশের তৎকালীন আইজি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘দুষ্কৃতকারীরা যেখানেই থাকুক না কেন, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।’
তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানান, ‘জনমনে স্বস্তি না ফেরা পর্যন্ত কারফিউ চলবে।’ ৯ দফা দাবি আদায়ে ২৫ জুলাই দেশব্যাপী গণসংযোগ কর্মসূচি ঘোষণা করে সমন্বয়করা।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলন এবং তাদের ওপর হামলা, সহিংসতা ও হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে এদিন মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনের মুখপাত্র মেজর জেনারেল প্যাট রাইডার বলেন, তারা বাংলাদেশের পরিস্থিতি নজরে রাখছে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, ‘আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। সরকার যত দিন চাইবে, সেনাবাহিনী তত দিন বেসামরিক প্রশাসনের সহযোগিতায় দায়িত্ব পালন করবে।’