জাতীয়

এক বছর আগেই বিয়ে করেছিলেন ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির

রাজশাহী প্রতিনিধি

মাত্র এক বছর আগেই ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত এক শিক্ষিকাকে বিয়ে করেছিলেন বিমান দূর্ঘটনায় নিহত ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলাম। আজ ছিল তার প্রথম এককভাবে বিমান পরিচালনার দিন। সন্তানের প্রথম একক বিমান চালানোর খবরে উচ্ছ্বসিত ছিলো এই বৈমানিকের বাবা মা।

সোমবার (২১ জুলাই) বিকেলে দুর্ঘটনার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মারা যান ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলাম।

জানা যায়, রাজশাহী নগরীর উপশহর তিন নম্বর সেক্টরের আশ্রয়নামের তিনতলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন নিহত বৈমানিক তৌকিরের পরিবারএ বাসাতে থাকেন তার বাবা তহুরুল ইসলাম, মা সালেহা খাতুন, ছোট বোন সৃষ্টি ও  বোনের স্বামী।

বাসার মালিক আতিকুল ইসলাম জানান, তৌকির ইসলাম সাগর প্রথমবারের মতো একা প্রশিক্ষণ বিমান চালাবেন এই খবরে পুরো পরিবারের সদস্যরা আনন্দিত ও উচ্ছ্বসিত ছিলেন। দুপুরের পর তারা বিমান বিধ্বস্তের খবর পান। সে সময় জানতে পারেন সাগর জীবিত আছেন এবং ঢাকার সিএমএইচ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

তিনি জানান, সাগরকে দেখতে পরিবারের সদস্যরা ঢাকা যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করলে বিমান বাহিনীর পক্ষ থেকে এয়ারক্রাফটের ব্যবস্থা করা হয়। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে র‌্যাবের একটি মাইক্রোবাসে ভাড়া বাসা থেকে তাদের রাজশাহী শাহ মখদুম বিমানবন্দরে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তারা ঢাকা রওনা হন।

পাইলট তৌকির ইসলাম সাগরের গ্রামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ এলাকার কানসাটে। তার বাবা তহুরুল ইসলাম আমদানি রপ্তানির ব্যবসা করেন। তৌকির রাজশাহী সরকারি ল্যাবরেটরী হাইস্কুলে ৬ষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করেছেন। পরে পাবনা ক্যাডেট কলেজে ভর্তি হন। গত এক বছর আগে তিনি ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষিকাকে বিয়ে করেন।

প্রসঙ্গত, সোমবার দুপুর ১টার পর রাজধানীর উত্তরায় দুর্ঘটনায় পড়ে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান। বিমানটি উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে গিয়ে পড়ে এবং বিধ্বস্ত হয়। এতে পাইলটসহ ২০ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে।

 

আই/এ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন #তৌকির