প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘মানবজাতির কলঙ্ক’ উল্লেখ করে কঠোর ভাষায় সমালোচনা করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, “শেখ হাসিনাকে কোনোদিন ক্ষমা করা যাবে না। তিনি মায়েদের কলঙ্ক, মানবতার কলঙ্ক। তার কোনো ক্ষমা নেই, বিচার হবেই।”
রোববার (২০ জুলাই) রাজধানীর শেরে বাংলানগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবর প্রাঙ্গণে ‘গণঅভ্যুত্থান ২০২৪ জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা সবুজ পল্লবে স্মৃতি অম্লান’ কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।
শনিবারের (১৯ জুলাই) একটি অনুষ্ঠানে জুলাই আন্দোলনে এক শহীদের মায়ের আহাজারির কথা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যে ছেলেটাকে দেখে আমি স্বপ্ন দেখেছি- আমার পরিবার স্বপ্ন দেখেছে ভবিষ্যতের। সে ছেলেটাকে কেড়ে নিয়েছে। কেড়ে নিয়েছে খুবই মর্মান্তিক ও নিদারুণভাবে। তাকে গুলি করে মেরেছে, তারপর একটি ভ্যানের মধ্য উঠিয়েছে। বেঁচে আছে নাকি মরে গেছে, সেটা না দেখে আরও কয়েকটি মরদেহ উঠিয়েছে, পরে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে’—চিন্তা করেন একটা স্বাধীন দেশের নাগরিক আমরা। ১৯৭১ সালে যুদ্ধ করেছি, একটা স্বাধীন দেশের জন্য। সেই দেশের পুলিশ, প্রশাসন রাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য কাজ করে, যাদের বেতন আমার-আপনার ট্যাক্সের টাকায় হয়। তারা আজকে আমার ছেলেকে, আমার সন্তানকে পুড়িয়ে মারছে ও হত্যা করছে। কী নির্মম, কী পাশবিক।
এমন নিষ্ঠুর-অমানবিকতার জন্য শেখ হাসিনাকে কখনো ক্ষমা করা যাবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, হাসিনাকে কোনদিন ক্ষমা করা যাবে না। হাসিনা মানবজাতির কলঙ্ক। হাসিনা মায়েদের কলঙ্ক। আমাদের প্রথম কাজ হবে এদের বিচার করা। দ্বিতীয় কাজ হবে শহীদ পরিবারদের পুনর্বাসন করা। যারা আহত হয়েছে তাদের উন্নত চিকিৎসা দিয়ে পুনর্বাসন করা। এটা না হলে ভবিষ্যত জাতি আমাদের ক্ষমা করবে না।
জুলাই আন্দোলনে নিহত ও আহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে পুনর্বাসন তহবিল গঠনের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “গতকালও বলেছি, আজকেও বলছি—নির্বাচন হবেই। নির্বাচনে কে দায়িত্ব পাবে বা না পাবে, সেটা পরের কথা। কিন্তু আন্দোলনে যেসব ভাই শহীদ হয়েছেন বা আহত হয়েছেন, তাদের পাশে দাঁড়ানো এখনই আমাদের দায়িত্ব।”
তিনি বলেন, “আমি আজই দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে বলব—দলের পক্ষ থেকে যেন একটি ফান্ড গঠন করা হয়, যাতে শহীদ ও আহত পরিবারগুলোর পুনর্বাসন নিশ্চিত করা যায়।”
এসি//