আন্তর্জাতিক

ব্রিকস নেতাদের ‘ঐতিহাসিক পারিবারিক ছবি’তে ঐক্যের প্রতীক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ব্রাজিলের রিও ডি জেনেইরোতে অনুষ্ঠিত হয়েছে ১৭তম ব্রিকস সম্মেলন। দুই দিনব্যাপী এই সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন সদস্য রাষ্ট্রগুলোর নেতৃবৃন্দ এবং অংশীদার দেশ ও অঞ্চলের প্রতিনিধিরা।

সোমবার (০৮ জুলাই) সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা, রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ, দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, এবং ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রাবোয়ো সুবিয়ান্তোসহ বিভিন্ন দেশের নেতারা এক মঞ্চে দাঁড়িয়ে হাত মিলিয়ে গ্রুপ ছবি তোলেন। এতে আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য ও লাতিন আমেরিকার বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরাও অংশ নেন।

সম্মেলনের প্রথম দিনেই নেতারা বৈশ্বিক অর্থনৈতিক কাঠামোর সমালোচনা করেন।

ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভা অভিযোগ করেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF) ও বিশ্বব্যাংক ধনী দেশগুলোর স্বার্থ রক্ষায় কাজ করছে, যা গ্লোবাল সাউথের জন্য এক ধরনের 'উল্টো মার্শাল পরিকল্পনা'।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে ঐক্যবদ্ধ কর্মসূচির প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

সম্মেলন শেষে প্রকাশিত যৌথ বিবৃতিতে গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো হয় এবং ইসরায়েলের ইরানে সাম্প্রতিক হামলার নিন্দা করা হয়। সেইসঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সহযোগিতা করতে ধনী দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানানো হয়। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ এবং আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কারের বিষয়েও সম্মিলিতভাবে মত প্রকাশ করেন নেতারা।

এদিকে ব্রিকসের সম্প্রসারণ এবং ঐক্যবদ্ধ বার্তার প্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যেসব দেশ ব্রিকসের মার্কিন-বিরোধী নীতির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করবে, তাদের পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ আমদানি শুল্ক আরোপ করা হবে।

জবাবে রাশিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয়, ব্রিকস কখনোই তৃতীয় কোনো দেশের বিরুদ্ধে কাজ করেনি, ভবিষ্যতেও করবে না।

‘Strengthening Global South Co-operation for More Inclusive and Sustainable Governance’— এই স্লোগানকে সামনে রেখে ৬ ও ৭ জুলাই অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে অংশ নেয় সম্প্রসারিত ব্রিকস সদস্য দেশগুলো। ২০২৩ সালে ব্রিকসে নতুন সদস্য হিসেবে যোগ দেয় মিসর, ইথিওপিয়া, ইরান, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।

২০২৪ সালের কাজান সম্মেলনে ইন্দোনেশিয়াও নতুন সদস্য হিসেবে যোগ দেয় এবং প্রথমবারের মতো ‘পার্টনার রাষ্ট্র’ ধারণা চালু হয়।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন #ব্রিকস সম্মেলন