শীতকালে ভাইরাসজনিত সংক্রমণ বাড়ে, ফলে অনেকেই ঠান্ডা, কাশি, জ্বর, গলাব্যথাসহ নানা সমস্যায় ভোগেন। এ সময় সকালে কুসুম গরম পানি পান করলে শরীর আরাম পায় ও স্বস্তি মেলে। অতিরিক্ত ঠান্ডায় শরীরের তাপমাত্রা কমে হাইপোথার্মিয়ার ঝুঁকি তৈরি হতে পারে, আবার অনেকের হাত-পায়ের আঙুল নীলচে হয়ে যায়। নিয়মিত কুসুম গরম পানি পান করলে শীতের এসব সমস্যা কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
কুসুম গরম পানি পানের উপকারিতা
- শীতকালে শরীরের তাপমাত্রার ভারসাম্য বজায় রাখতে কুসুম গরম পানি সহায়তা করে। তাই দিনের শুরুতে এক গ্লাস কুসুম গরম পানি পান করা উপকারী।
- ঠান্ডার কারণে হজমশক্তি দুর্বল হয়ে যেতে পারে। কুসুম গরম পানি হজমপ্রক্রিয়া সহজ করে, কোষ্ঠকাঠিন্য কমায় এবং পেট ফাঁপা ও অ্যাসিডিটির মতো সমস্যায় উপকার দেয়।
- শরীরে জমে থাকা বিষাক্ত উপাদান বের করে দিতে কুসুম গরম পানি কার্যকর। এটি কিডনি ও লিভার সুস্থ রাখতে সাহায্য করে, পাশাপাশি রক্ত পরিষ্কার ও রক্তসঞ্চালন উন্নত করে।
- ওজন কমাতে ইচ্ছুকদের জন্যও কুসুম গরম পানি উপকারী। এটি মেটাবলিজম বাড়াতে সহায়তা করে এবং ক্যালরি ব্যয় বাড়ায়।
- শীতকালে দাঁত ও মাড়ির সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। কুসুম গরম পানি দিয়ে কুলি করলে দাঁত ও মাড়ির সংক্রমণের ঝুঁকি কমে।
- মাথাব্যথা, গলাব্যথা বা নাক বন্ধের মতো শীতকালীন সমস্যায় কুসুম গরম পানি পান করলে আরাম পাওয়া যায়।
এসএইচ//