আগামীকাল ১লা নভেম্বর থেকে পর্যটকদের জন্য ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হচ্ছে। তবে যাত্রী দ্বীপে মাত্র এক ঘণ্টা সময় কাটাতে পারায় আশানুরুপ যাত্রি না হওয়ায় লোকসানের আশংকায় আগামীকাল জাহাজ না চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাহাজ মালিক পক্ষ।
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর সন্ধ্যায়) বায়ান্ন টিভিকে এ তথ্য জানিয়েছেন জাহাজমালিকদের সংগঠন ‘সি ক্রুজ অপারেটর ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ–এর সাধারণ সম্পাদক ও এমভি কর্ণফুলী জাহাজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর।
তিনি জানান, এমভি কর্ণফুলী ও এমভি বার আউলিয়া নামে দুটি জাহাজকে কক্সবাজার–সেন্ট মার্টিন রুটে চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। দুই জাহাজে দৈনিক যেতে পারবেন দুই হাজার পর্যটক। কিন্তু দীর্ঘ ১৩–১৪ ঘণ্টা জাহাজে চড়ে পৌঁছালেও নেই রাতে থাকার অনুমতি। মাত্র ১ ঘণ্টা দ্বীপে ঘুরেই আবার জাহাজে উঠতে হবে। এ কারণে পর্যটকেরা উৎসাহিত হচ্ছেন না সেন্ট মার্টিন যেতে। আর পর্যাপ্ত যাত্রী না পেলে কক্সবাজার-সেন্ট মার্টিন রুটে লোকসান দিয়ে জাহাজ ছাড়তে চাইছেন না মালিকেরা।
হোসাইন ইসলাম বাহাদুর জানান, কক্সবাজার শহর থেকে ১২০ কিলোমিটার দূরে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে যাতায়াতে জ্বালানিসহ খরচ হয় ১০ লাখ টাকার বেশি। এ অবস্থায় অল্প সংখ্যক যাত্রী নিয়ে গেলে টিকিট বিক্রি থেকে আয় হবে মাত্র দুই-আড়াই লাখ। প্রতিদিন ৭-৮ লাখ টাকা লোকসান দিয়ে জাহাজ চালানো অসম্ভব। তবে উখিয়ার ইনানী সৈকতের নৌবাহিনীর জেটি দিয়ে সেন্ট মার্টিন জাহাজ চালানো গেলে পর্যটকের সাড়া মিলত। তখন দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসা সম্ভব হতো। এ ক্ষেত্রে পর্যটকেরা অন্তত তিন ঘণ্টা সেন্ট মার্টিন ঘুরে দেখার সুযোগ পেতেন। কিন্তু ইনানী জেটি দিয়ে জাহাজ চালানোর ক্ষেত্রে পরিবেশ অধিদপ্তরের নিষেধাজ্ঞা আছে।
তিনি আরও বলেন, এ অবস্থায় আগামীকাল নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হলেও। আপাতত তারা জাহাজ না চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আশানুরুপ পর্যটক হলে তারা পরবর্তীতে জাহাজ চালাবেন।
আই/এ