ইসরাইলের হামলার পর অনেকটা রাগে ক্ষোভে ফুঁসছে কাতার। জবাব দিতে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আলোচনা করছেন কাতারি প্রধানমন্ত্রী আল থানি।
আগামী সোমবার বিশ্বের বিভিন্ন মুসলিম দেশকে নিয়ে একটি জরুরী সম্মেলনের ডাক দিয়েছে কাতার। সেখানেই ইসরাইলি হামলার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে। খবরটি নিশ্চিত করেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএ।
কাতারে হামলা নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের আরেক দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতও বেশ নাখোশ। ইসরাইলি হামলার কয়েক ঘণ্টা পর কাতারে যান দেশটির প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান। শুক্রবার ইসরাইলি রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠায় দেশটি।
নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, আঞ্চলিক ঐক্য দেখাতে ও ইসরাইলকে জবাব দিতে আরব দেশগুলো এক হওয়ার কথা ভাবছেন। এসব বিশ্লেষকদের একজন বাদের আল সাইফ, যিনি কুয়েত বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের সহকারী অধ্যাপক। সিএনএনকে তিনি বলেছেন, আরব দেশগুলোকে একটা শক্ত অবস্থান নেয়া উচিত। অন্যথায়, কাতারের পর নতুন কোন আরব দেশ ইসরাইলি হামলার শিকার হতে পারে।
আরেক নিরাপত্তা বিশ্লেষক আব্দুল আজিজ সাগের বলেন, কাতারসহ সাতটি আরব দেশ সামরিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভরশীল। মার্কিন মিত্র হওয়া সত্ত্বেও কাতারে ইসরাইলি হামলায় এসব দেশ রীতিমতো উদ্বিগ্ন। ফলে তারা সামরিক সক্ষমতা বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভর্শীলতা কমিয়ে অন্য কোন উপায় খুঁজতে পারে।
এদিকে ইসরাইলি হামলা নিয়ে শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করছেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী আল থানি। ওই বৈঠকের আগে তিনি মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও’র সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
এনএস/