আইন-বিচার

যে কারণে জামিন চাননি লতিফ সিদ্দিকী

আদালতের প্রতি আস্থানেই বলে জামিন চাননি বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী। আদালতের জামিন দেয়ার ক্ষমতা নেই,উল্ল্যেখ করে তিনি ওকালতনামায় স্বাক্ষর করেননি।

শুক্রবার (২৯ আগস্ট) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম এসব কথা বলেন

শুনানি শেষে অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম জানান, লতিফ সিদ্দিকীর জামিনের জন্য যখন তার কাছে ওকালতনামায় স্বাক্ষর করতে গেলে তিনি বলেন, আদালতের জামিন দেওয়ার ক্ষমতা নেই, তার কাছে কেন জামিন চাইবো? আমি ওকালতনামায় স্বাক্ষর করবো না, জামিন চাইবো না

তিনি বলেন, যতবার স্বাক্ষর আনতে গিয়েছেন, ততবারই লতিফ সিদ্দিকী এ কথা বলেন। এ কারণে তিনি জামিনের প্রার্থনা করেননি।

পরে শুনানি শেষে রাজধানীর শাহবাগ থানার সন্ত্রাসবিরোধ আইনের মামলায় লতিফ সিদ্দিকীসহ ১৬ জনকে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠান আদালত।

অপর আসামিরা হলেনঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান কার্জন, মো. আব্দুল্লাহ আল আমিন, সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলম পান্না, কাজী এটিএম আনিসুর রহমান বুলবুল, গোলাম মোস্তফা, মো. মহিউল ইসলাম ওরফে বাবু, মো. জাকির হোসেন, মো. তৌছিফুল বারী খান, মো. আমির হোসেন সুমন, মো. আল আমিন, মো. নাজমুল আহসান, সৈয়দ শাহেদ হাসান, মো. শফিকুল ইসলাম দেলোয়ার, দেওয়ান মোহম্মদ আলী ও মো. আব্দুল্লাহীল কাইয়ুম।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়,  ২৮ আগস্ট সকাল ১১টার দিকে বাদী শাহবাগ থানার এসআই মো. আমিরুল ইসলাম দেখতে পান, বেশকিছু লোকজন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির অডিটরিয়ামে কিছু লোককে ঘেরাও করে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট বলে স্লোগান দিচ্ছে এবং আবদুল লতিফ সিদ্দিকী বক্তব্য দিচ্ছেন।

আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি বন্ধে গত ৫ আগস্ট মঞ্চ ৭১নামে সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটে। ওই সংগঠনের উদ্দেশ্য জাতির অর্জনকে মুছে ফেলার সব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে বাংলাদেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আত্মত্যাগের প্রস্তুতি নেওয়া। প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ২৮ আগস্ট সকাল ১০টায় একটি গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায়, গোলটেবিল বৈঠকে গ্রেপ্তার হওয়া আসামিরাসহ আরও ৭০-৮০ জন অংশ নেন। পরে পুলিশ তাদের হেফাজতে নেয়।

 

আই/এ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন #লতিফ সিদ্দিকী