ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে (ডাকসু) সেনাবাহিনীর সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছে, আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। এ প্রেক্ষিতে প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা জসীম উদ্দিন বলেছেন, নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের বিষয়টি তাঁরা পরিকল্পনায় রেখেছেন। যদি প্রয়োজন হয়, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মাধ্যমে তাঁরা এই সহযোগিতা চাইবেন। তবে এখন পর্যন্ত নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কার কোনো কারণ নেই।
বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে তিনটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তা কাজী মারুফুল হক বলেন, শিক্ষার্থীদের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা ইস্যু নিয়ে দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সেনা মোতায়েনের কথা বলা হয়েছিল। তাঁদের দাবি ছিল, ভোটকেন্দ্রগুলো আবাসিক হল থেকে বের করে আনার, সেটি হয়েছে।
তিনি বলেন, একজন শিক্ষার্থীর সব কটি ভোট দিতে আট মিনিট করে সময় লাগবে। শতভাগ ভোটার উপস্থিত থাকলেও যাতে সবাই ভোট দিতে পারেন, সে অনুপাতে ভোটকেন্দ্রে বুথ স্থাপন করা হবে। সবাই ভোট দিতে পারবেন। কোনো অনিয়ম হবে না। সবাই ভোট দিতে পারবেন। নির্বাচন নিয়ে কোনো রকম আশঙ্কা এ মুহূর্তে নেই।
আচরণবিধি–সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের প্রধান অধ্যাপক গোলাম রব্বানী বলেন, ক্যাম্পাসে এ মুহূর্তে কোনো ব্যানার-ফেস্টুন নেই। প্রক্টর অফিসের মাধ্যমে সব সরিয়ে ফেলা হয়েছে। প্রার্থীরা হ্যান্ডবিল-লিফলেট বিতরণ করতে পারবেন, তাঁরা সেটা করছেনও।
তিনি আরও বলেন, চারুকলায় আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সেটার পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। আজকের মধ্যেই তারা প্রতিবেদন দেবে। আজ সারা দিনে আচরণবিধি ভাঙার কোনো অভিযোগ তাঁরা পাননি।
আই/এ