গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, স্বাধীনতার পর কোনও সরকার এত বিস্তৃত সমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় আসেনি। বিএনপি ও জামায়াতের মতো বড় রাজনৈতিক শক্তিগুলো এ সরকারকে সহযোগিতা করছে। সিভিল সোসাইটিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলেরও সমর্থন রয়েছে। তবুও সরকার নিজস্ব কোনও নীতিগত সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না।
শনিবার (২৬ জুলাই) রাজধানীর খামারবাড়ি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)-এর আয়োজনে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
নুর বলেন, ‘বিএনপির বিরোধিতার মুখে সরকার সাংবিধানিক কাউন্সিল গঠনের প্রস্তাব থেকে পিছিয়ে গেছে। এমনকি স্থানীয় সরকার নির্বাচনের মতো স্পষ্ট দাবির ক্ষেত্রেও বিএনপির মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।’
সিভিল সোসাইটির ভূমিকার সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘তারা নিজেদের সুবিধার্থে সরকারকে প্রভাবিত করছে। এরশাদ সরকারকে আমরা সমালোচনা করি, কিন্তু তিনি বিচার বিভাগ বিকেন্দ্রীকরণের চেষ্টা করেছিলেন। তখন সিভিল সোসাইটির বিরোধিতার মুখে সেটি বাস্তবায়িত হয়নি। অথচ বর্তমানে এই সরকারের আমলে ১৮ জন বিচারকের নিয়োগ নিয়েই বিতর্ক তৈরি হয়েছে।’
সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, ‘সরকারকে অবশ্যই মেরুদণ্ড সোজা করে দায়িত্ব নিতে হবে।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সুজন-এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বিচারপতি এম এ মতিন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি ড. আলী রীয়াজ, সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, ঐকমত্য কমিশনের সদস্য ড. ইফতেখারুজ্জামান প্রমুখ।
আই/এ