জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন,গত ৫০ বছরে বাংলাদেশকে নানাভাবে বিভাজিত করে রাখা হয়েছিল। এর অন্যতম শিকার পার্বত্য চট্টগ্রাম। নানা অশান্তি, নানা বিভাজন জিইয়ে রেখে অন্য একটি পক্ষ বারবার সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করে। আমরা এই তৃতীয় কোনো পক্ষকে আর সুবিধা নেওয়ার সুযোগ দেবো না।
রোববার (২০ জুলাই) দুপুরে ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’র অংশ হিসেবে রাঙামাটিতে এনসিপি আয়োজিত পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
নাহিদ বলেন, ‘আমাদের মধ্যে কোনো সমস্যা থাকলে আমরা নিজেরাই এর সমাধান করব। আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে’।
তিনি বলেন, অন্তর্ভুক্তিমূলক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশই আমাদের প্রত্যাশা। যেই বাংলাদেশে সব ধর্ম, জনগোষ্ঠী ও সম্প্রদায় আমরা একসঙ্গে সমান মর্যাদা নিয়ে সমনাগরিক হিসেবে বসবাস করতে পারব। সেই রকম একটি রাষ্ট্র আমরা চাই।
তিনি আরও বলেন, ‘৭২-এর মুজিববাদী সংবিধানে সব জনগোষ্ঠীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। বাঙালি জাতীয়তাবাদের নামে অন্যান্য জাতি গোষ্ঠীর সঙ্গে বিভেদ তৈরি করে রাখা হয়েছে। ধর্ম নিরপেক্ষতার নামে ইসলামের সঙ্গে অন্য ধর্মের বিভেদ তৈরি করে রাখা হয়েছে। আমরা সব বিভেদের ঊর্ধ্বে গিয়ে সব জনগোষ্ঠীকে মর্যাদা দিয়ে একটি সংবিধান তৈরি করতে চাই’।
এর আগে সকালে চট্টগ্রাম নগরের নিউমার্কেটের মোটেল সৈকতে জুলাই শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এনসিপির নেতা-কর্মীরা। এ সময় নাহিদ বলেন, ‘আমরা অনেক ডিফিকাল্টির মধ্যে আছি। আপনারা দেখেছেন, গোপালগঞ্জে আমাদের সঙ্গে কী হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় নানাভাবে বাধা আসছে। আমরা আপনাদের কাছে দোয়া চাই। আপনাদের দোয়া আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’
সাবেক এ উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি যখন সরকারে ছিলাম বা আমাদের পক্ষ থেকে যাঁরা সরকারে গেছেন, আমরা জুলাই শহীদ পরিবারের বিষয়ে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়ার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু দেখা গেছে, সরকারের উদ্যোগগুলো মাঠপর্যায়ে তেমনভাবে পৌঁছায়নি বা পৌঁছাতে দেরি হয়েছে। কেননা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে এখনো স্বৈরাচারের দোসররা আছেন। শহীদ পরিবারের যে সম্মান পাওয়ার কথা, সেটি হয়নি; বিভিন্ন জায়গায় আমরা সে অভিযোগগুলো শুনি।’
আই/এ