আন্তর্জাতিক

ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্র ফিলিস্তিনে গণহত্যা করছে

গাজায় ইসরাইলি গণহত্যার বিরুদ্ধে সিউলে বিক্ষোভ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ছবি: সংগৃহীত

গাজায় ইসরাইলের সামরিক অভিযান এবং ফিলিস্তিনদের বিরুদ্ধে ‘গণহত্যার’ প্রতিবাদে দক্ষিণ কোরিয়ায় বিক্ষোভ হয়েছে। শনিবার (১২ জুলাই) দেশটির রাজধানীতে সিউলের গওয়াংহামুন জেলায় এই বিক্ষোভ হয়। 

প্রতিবাদকারীরা ফিলিস্তিনের পতাকা, প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার নিয়ে মার্কিন ও ইসরাইলি দূতাবাসের কাছে মিছিল করেন। এসময় তারা 'ডোনাল্ড ট্রাম্প, সন্ত্রাসী গণহত্যা বন্ধ করো' এমন স্লোগান দেয়। বিক্ষোভকারীরা লাল পোশাকে পড়ে প্রতীকীভাবে ‘গণহত্যার বিরুদ্ধে একটি লাল রেখা’ প্রদর্শন করেন।  

একজন বিক্ষোভকারী জানান, তিনি ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিন ব্যাপারটি অনুসরণ করছেন। তিনি জানেন, ওখানে পরিস্থিতি কত ভয়াবহ। তার কাছে মনে হয়েছে ফিলিস্তিনদের জন্য কিছু করা দরকার।  

এসময় বিক্ষোভকারীরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তীব্র সমালোচনা করেন। একজন বলেন, “মধ্যপ্রাচ্যে, বিশেষ করে ফিলিস্তিনে, ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র যা করছে, তা শুধু যুদ্ধ নয়। এটা গণহত্যা। একটি জাতিকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া হচ্ছে। 

পিপিল ইন সলিডারিটি উইথ প্যালেস্টাইন ‘People in Solidarity with Palestinians নামে একটি সংস্থা এই বিক্ষোভের আয়োজন করে। তারা গাজায় অবিলম্বে সামরিক অভিযান বন্ধের দাবি জানায়। একই সঙ্গে ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র রপ্তানি বন্ধ করার বিশ্বের সব দেশের প্রতি আহ্বান জানায়।

উল্লেখ্য, ইসরায়েল তাদের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ বারবার অস্বীকার করছে। তারা বলছে, তাদের হামলার লক্ষ্য শুধুমাত্র হামাসের অবকাঠামো।  হামাসই ফিলিস্তিনি বেসামরিক মানুষদের ‘মানব ঢাল’ হিসেবে ব্যবহার করছে।

হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধের শুরু হয় ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর। সেদিন হামাস দক্ষিণ ইসরায়েলে হামলা করে। ওই হামলায় ১১৩৯ জন ইসরাইলী নিহত হন। অপহরণ করা হয় ২০০ জনের বেশী ইসরায়েলি নাগরিককে। 

এর জবাবে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজায় ব্যাপক বিমান হামলা ও স্থল অভিযান শুরু করে। সবশেষে হিসাবে ইসরাইলী হামলায় ৫৭ হাজার ৮৮২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১ লাখ ৩৮,০০০ জনেরও বেশি মানুষ। 

চলতি বছরের ১৮ মার্চ গাজায় আবারো সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরাইল। বর্তমানে ‘অপারেশন গিডিওনের রথ’ নামে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইলী বাহিনী। 

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন #গাজা #ইসরাইল