বিএনপি

আগে সংস্কার,পরে নির্বাচন সরকারের মুখে এ কথা শুনতে চাই না : মঈন খান

রাজশাহী প্রতিনিধি

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান বলেছেন, ‘সংস্কার ও বিচার দুটোই চলমান প্রক্রিয়া। কারও মুখে আমরা এটা শুনতে চাই না যে আগে সংস্কার হবে, আগে বিচার হবে, পরে গণতন্ত্র হবে, পরে নির্বাচন হবে।এই কথা আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মুখে শুনতে চাই না।

শনিবার (১২ জুলাই) দুপুর ১২ টায় রাজশাহীর ঐতিহ্যবাহী ভুবন মোহন পার্কে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির নতুন সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচি উপলক্ষে ফরম বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন

মঈন খান বলেন, এই সরকারে যারা এসেছে, জনগণ যাদের এই গুরুদায়িত্ব দিয়েছে এদেশে একটি সুষ্ঠ ও নিরোপেক্ষ নির্বাচন করে সারা বাংলাদেশকে পূর্ণরায় গণতন্ত্রের পথে ফিরিয়ে আসনে। আমরা জানি এখানে সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে। আমরা জানি দেশে ন্যায় বিচারের প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে এই- সংস্কার এবং বিচার দুটি কিন্তু একটি চলমান প্রক্রিয়া। এটা এই রকম নয়, আমরা আজকে সংস্কার করে দিলাম, সব সংস্কার শেষ হয়ে গেল।  আমরা সুবিচার করে দিলাম, সব সুবিচার আজকে শেষ হয়ে গেল। সংস্কার ও বিচার প্রক্রিয়া এরকম নয়।

 তিনি বলেন, এখন সময় হচ্ছে- আমরা সৃঙ্খলভাবে একটি পরিবেশ পরিস্থিতি বাংলাদেশে সৃষ্টি করব। যেখানে সুষ্ঠ, নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। আমরা ১৬ বছর ধৈর্য রেখেছি। আমরা আগামি কয়েক মাস ধৈর্য রাখব। আমরা নিয়মের বাইরে যাব না। আমরা শৃঙ্খলার বাইরে যাব না। আমরা কারও উপরে জোর করে কোন কিছু চাপিয়ে দেব না। কেনো না সেটা গণতন্ত্র নয়, সেটা স্বৈরাচার। স্বৈরাচারের রাজনীতিতে বিএনপি বিশ্বাস করে না। বিএনপি বিশ্বাস করে আইনের শাসনে। আমরা জনগণের শক্তিতে বিশ্বাস করি। আমরা মানুষের ভোটে বিশ্বাস করি। আমরা মানুষের গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। যে যতই স্বড়যন্ত্র করুক, বাংলাদেশের মানুষের উপরে আমাদের আস্থা আছে। আগামি নির্বাচনে জনগণ তাদের প্রতিনিধিত্ব করার আমাদের সুযোগ দেবে

তিনি আরও বলেন, বিএনপি একটি ভিন্নধর্মী রাজনীতিক দল। আমরা অনেক রাজনৈতিক দল বাংলাদেশে দেখেছি। পথভ্রষ্ট রাজনৈতিক দল দেখেছি। আওয়ামী লীগ হচ্ছে পথভ্রষ্ট রাজনীতিক দল। এই যে আওয়ামী লীগের যে পরিণতি হয়েছে, দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে হয়েছে। আজকে দীর্ঘ ১১ মাস অতিবাহিত হয়েছে। এই ১১ মাসের মধ্যে একজন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী কাউকে দেখাতে পারবেন যে সৎসাহস নিয়ে বলতে পেড়েছে- যে আমরা বাংলাদেশের মানুষের প্রতি অন্যায় করেছি। আমরা ক্ষমা চাই। কেউ বলে নাই

 রাজশাহী মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মামুন-অর-রশিদের সঞ্চালনায় ও রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এ্যাড. এরশাদ আলী (ঈশা) সভাপতিত্বে  অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন রাজশাহী বিভাগীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহীন শওকত, রাজশাহী মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল হুদা প্রমুখ

 

আই/এ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন #আগে #সংস্কারপরে #নির্বাচন #সরকারের #মুখে #এ #কথা #শুনতে #চাই # #মঈন #খান