জাতির উদ্দেশে এক বার্তায় ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেছেন, ‘কঠিন দিনগুলো আমরা কাটিয়ে উঠব’। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ওই বার্তায় তিনি সরকারের প্রতিটি অংশকে ‘ইরানের জন্য কাজ করার’ নির্দেশ দিয়েছেন।
মাসুদ পেজেশকিয়ান আরো বলেন, ‘সব মন্ত্রণালয় এবং এজেন্সিকে তাদের সর্বোচ্চ শক্তি ও সম্পদ ব্যবহার করে ইরানের জন্য কাজ করতে বলা হচ্ছে। কোনো কিছুর প্রতি বিমুখ না হয়ে আপনাদের ধৈর্য ও সমর্থন দরকার।
তিনি বলেন, আল্লাহর ইচ্ছায় সহানুভূতি ও সংহতির সাহায্যে আমরা এই কঠিন দিনগুলো কাটিয়ে উঠব।’
এর আগে ইরানের আহমেদাবাদের কাছে নাতানজ পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা করেছে ইসরাইল। দেশটির সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তাদের বিমানবাহিনী বুধবার রাতে ইরানের নাতাঞ্জ শহরে এই হামলা চালিয়েছে। ইসরাইলের দাবি, এটি পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির কাজে ব্যবহৃত হতো।
ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বলছে, ওই স্থাপনায় এমন কিছু বিশেষ যন্ত্রাংশ ও উপকরণ রয়েছে। যেগুলো পারমাণবিক অস্ত্র তৈরিতে ব্যবহার হয়। সেখানে এমন প্রকল্প চলছে , যা পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচিকে দ্রুত এগিয়ে নিবে।
ইরানের মূল ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রে নাতাঞ্জে এর আগেও হামলা হয়েছে। ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের প্রথম দিকে ১৪ জুন সেখানে হামলা চালায় করে ইসরাইল। ওই হামলায় ইরানের বেশ কয়েকজন শীর্ষ জেনারেল মারা যান।
তেহরান থেকে আড়াই’শ কিলোমিটার দক্ষিণে নাতাঞ্জ ইরানের মূল ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র। সেখানে ২০২১ সালের এপ্রিলে একবার হামলা হয়েছিল। এটি বাংকারযুক্ত একটি স্থাপনা। ২০০২ সালে কেন্দ্রটির কথা প্রথম প্রকাশ পায়। এই স্থাপনার দুটি সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রে প্রায় ৭০টি সেন্ট্রিফিউজের সারি আছে।
অন্যদিকে ইসরাইলের হোলোন, তেল আবিব ও রামাতগনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করেছে ইরান। ইসরাইলি গণমাধ্যম জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় হোলোন শহরে তিনজন গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
রামাতগন এলাকায় প্রায় ২০ জন সামান্য আঘাত পেয়েছেন।
ইসরাইলের সাহায্য সংস্থাগুলো বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, ইরানি হামলায় মোট ৬৫ জন আহত হয়েছেন। ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী জানিয়েছে, এটি ছিল ‘ইরানি সশস্ত্র বাহিনীর ১৪তম শক্তিশালী সমন্বিত হামলা।