আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টার মামলায় প্রধান অভিযুক্ত ফয়সালের বাবা হুমায়ুন কবির ও মা হাসি বেগম।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুল ইসলাম তাদের জবানবন্দি নেন। এরপর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
ফয়সালের বাবা-মা বলেছেন, ফয়সালের সব অপকর্মের বিষয়েই জানতেন তারা। হাদিকে গুলি করার পর ফয়সাল ও তার সহযোগীকে পালাতে এবং ঘটনায় ব্যবহৃত অস্ত্র লুকাতেও তারা সহযোগিতা করেন।
জবানবন্দিতে ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান ওরফে শুটার ফয়সালের মা-বাবা আরও বলেন, ফয়সাল ঘটনার দিন সকাল থেকে কোনো মোবাইল ফোন ব্যবহার করেনি। সে আগের রাতেই হাদির পরবর্তী দিনের কর্মসূচি সম্পর্কে জানত। ঘটনার দিন হাদিকে গুলি করে ফয়সাল শেরেবাংলা নগরে তার বোনের বাসায় যায়। ওই বাসায় তার বাবা-মা ও বোন ছিলেন। সেখানে গিয়ে ফয়সাল তিনটি অস্ত্র তার বাবার কাছে দেয়। এরপর মোটরসাইকেলের নম্বর প্লেট পরিবর্তন করে। পরে সে বাসা থেকে বের হয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় ওঠে। তার বাবাই সব ব্যবস্থা করে দেন। ফয়সাল বের হওয়ার সময় বলেছে, সে বাংলাদেশ থেকে চলে যাচ্ছে।
জবানবন্দিতে ফয়সালের বাবা-মা বলেন, ফয়সাল তিনটি বিয়ে করেছে এবং তার একজন বান্ধবী রয়েছে। ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটিতে পড়ার সময় থেকেই রাজনীতিতে জড়ায় সে। এরপর বিভিন্নভাবে আওয়ামী লীগের উচ্চপর্যায়ের অনেকের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে। ছেলে ফয়সাল মাদক গ্রহণসহ নানা অপরাধে জড়িত ছিল-এসব জানতেন বাবা-মা। তবে তার সঙ্গে পরিবারের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল না বলেও জানান তারা। ফয়সাল সাধারণত অন্য জায়গায় থাকত, আর তারা (বাবা-মা) মেয়ের বাসায় থাকতেন।
উল্লেখ্য, শুক্রবার বেলা ২টা ২০ মিনিটে ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট এলাকায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ওসমান হাদিকে গুলি করা হয়। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে সিটি স্ক্যান এবং অস্ত্রোপচারের পর উন্নত চিকিৎসার জন্য ওইদিন রাতেই তাকে স্থানান্তর করা হয় এভারকেয়ার হাসপাতালে। সেখান থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে নেয়া হয়েছে সিঙ্গাপুরে।
এসি//