মসৃণ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনকে সমর্থন করে ইইউ: রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বাংলাদেশে সময়মতো, মসৃণ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনকে সমর্থন করে। মঙ্গলবার (০২ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ মন্তব্য করেন ইইউ রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার।
আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এর আগে ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিল ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন। গেল শনিবার শেরে বাংলানগর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত ‘মক ভোটিং’ পর্যবেক্ষণের তিন দিন পর সিইসির সঙ্গে এই বৈঠক করলেন ইইউ রাষ্ট্রদূত।
বৈঠক শেষে মিলার বলেন, “সময়মতো, মসৃণ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বাংলাদেশকে তার গণতান্ত্রিক পথচলায় বড় সুযোগ এনে দেবে।”
তিনি বলেন, সংসদ ও গণভোট পরিচালনার প্রাক-প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ইসির মহড়া দেখে তিনি অভিভূত হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, “নির্বাচন পরিচালনায় নির্বাচন কমিশনের সক্ষমতা, অঙ্গীকার ও পেশাদারিত্ব আমরা স্পষ্টভাবে দেখেছি। ২০২৬ সালে বিশ্বের অন্যতম বড় একটি নির্বাচন হতে যাচ্ছে বাংলাদেশে। এবারের নির্বাচনে ইইউ একটি বড় পর্যবেক্ষক দল পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে।”
ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, এবারের ভোটে নানা ধরনের সহযোগিতা দিয়ে আসছে ইইউ। এ ধারা অব্যাহত রাখার বিষয়ে ইইউ’র সমর্থনের কথাও জানান তিনি।
গণভোট ছাড়া এবারের নির্বাচনের প্রধান চ্যালেঞ্জ কী এমন প্রশ্নের জবাবে মাইকেল মিলার বলেন, “বাংলাদেশের এমন একটি তরুণ প্রজন্ম আছে যারা পূর্ববর্তী নির্বাচনগুলোতে অংশ নেয়নি। হয়তো তারা নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু মনে করেনি, অথবা ভোটকেন্দ্রে সহিংসতার আশঙ্কায় ভীত ছিল। তাদের আস্থা ফিরিয়ে আনা একটি বড় চ্যালেঞ্জ।”
তিনি আরও বলেন, ভোটারদের নির্বাচনের দিন কী করতে হবে, কীভাবে সময়মতো ভোট দিতে হবে—এসব বিষয়ে নিশ্চিত করা জরুরি। এ প্রসঙ্গে তিনি জানান, ইসি ভোটের সময় বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনা করছে, যা অত্যন্ত বুদ্ধিদীপ্ত সিদ্ধান্ত।
এমএ//