২০২৬ সালের ফিফা বিশ্বকাপের যৌথ আয়োজক যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডা। ‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’-খ্যাত এই টুর্নামেন্টের বেশিরভাগ ম্যাচ আয়োজন করবে যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া গ্রুপপর্বের বেশ কিছু ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে মেক্সিকোতে। এই বিশ্বকাপের উল্লেখযোগ্য একটি ভেন্যু হচ্ছে মেক্সিকোর আক্রন স্টেডিয়াম। যেখানে গ্রুপ-পর্বের চারটি ম্যাচ খেলার কথা।
তবে মেক্সিকোর আক্রন স্টেডিয়ামকে ঘিরে গুরুতর নিরাপত্তা উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। জলিস্কো প্রদেশের এই ভেন্যুর আশপাশ থেকে সম্প্রতি ৪৫৬ টি ব্যাগভর্তি মানবদেহের অবশিষ্টাংশ উদ্ধার করেছে অনুসন্ধানকারী দল। এর আগেও সেপ্টেম্বরে একই ধরনের দেহাবশেষ পাওয়া যায়।
তদন্তকারীরা নিশ্চিত করেছেন, এসব মৃতদেহের সঙ্গে জড়িত জলিস্কোর শক্তিশালী অপরাধী গোষ্ঠী। বিশেষ করে নিউ জেনারেশন কার্টেলের সংযোগ রয়েছে। রাজ্যটি দীর্ঘদিন ধরে মাদকচক্রের সহিংসতার কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। যুক্তরাষ্ট্রও অনেক আগেই এ কার্টেলকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
জলিস্কোতে নিখোঁজের সংখ্যা উদ্বেগজনকভাবে বেশি। ন্যাশনাল সার্চ কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, ২০০৯ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত এখানে নিখোঁজ হয়েছেন ৭,৩৭৬ জন। ২০১৮ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে আরও ৯,৫৯৩ জন নিখোঁজ হয়েছেন । দেশজুড়ে চলমান সহিংসতার প্রতিবাদে হাজারো মানুষ রাস্তায় নেমে নিখোঁজদের খোঁজ দাবি করেছেন।

এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠেছে, ছয় মাস পর গ্রুপপর্বের চারটি বিশ্বকাপ ম্যাচ আয়োজনের জন্য জলিস্কো কতটা প্রস্তুত?
তবে কর্তৃপক্ষ আশ্বস্ত করেছে, অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ৩ হাজার নতুন নজরদারি ক্যামেরা, বর্মবাহিত যান, মেটাল ডিটেক্টর এবং ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনের পরিকল্পনা রয়েছে।
আগামী মার্চে বিশ্বকাপের আগে আক্রন স্টেডিয়ামে ইন্টার-কনফেডারেশন প্লে-অফ ম্যাচও অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে নিউ ক্যালেডোনিয়া, জ্যামাইকা ও ডিআর কঙ্গো খেলবে বিশ্বকাপের চূরান্ত পর্বের টিকিটের জন্য।
এসএইচ//