শিক্ষা

প্রাথমিক শিক্ষায় অচলাবস্থা, শিক্ষকদের কর্মবিরতিতে অনিশ্চয়তায় বার্ষিক পরীক্ষা

তিন দফা দাবিতে টানা কর্মবিরতি চালিয়ে যাচ্ছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা। এর ফলে সারাদেশের সাড়ে ৬৫ হাজার বিদ্যালয়ে পাঠদান কার্যত বন্ধ হয়ে পড়েছে।

আগামী সোমবার (১ ডিসেম্বর) থেকে বার্ষিক পরীক্ষা শুরুর কথা থাকলেও রোববার রাতের মধ্যে দাবি বাস্তবায়নের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত না পেলে পরীক্ষার কার্যক্রমে অংশ না নেওয়ার কঠোর ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষকরা। এতে দেশের প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থা গভীর অনিশ্চয়তায় পড়েছে।

শিক্ষক নেতারা জানান, রোববার (৩০ নভেম্বর) রাতের মধ্যেই দাবি পূরণের পদক্ষেপ নিতে হবে। না হলে সোমবার থেকে শুরু হতে যাওয়া বার্ষিক পরীক্ষা বর্জন করা ছাড়া তাদের আর কোনো পথ থাকবে না। এ কর্মসূচিতে প্রায় ৩ লাখ ৮৪ হাজার সহকারী শিক্ষক অংশ নিচ্ছেন।

প্রাথমিক শিক্ষক পরিষদের অন্যতম আহ্বায়ক মো. মাহবুবর রহমান বলেন, “আমরা লাগাতার কর্মবিরতি পালন করছি। রোববারের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে পরীক্ষা বর্জন ছাড়া উপায় থাকবে না।”

প্রধান শিক্ষকরা ইতোমধ্যে দশম গ্রেডের বেতন পেলেও সহকারী শিক্ষকরা এখনও ১৩তম গ্রেডে রয়েছেন। বেতন স্কেল উন্নীতকরণ, উচ্চতর গ্রেড সমস্যা সমাধানসহ এসব দাবি তারা দীর্ঘদিন ধরে জানিয়ে আসছেন।

সহকারী শিক্ষকদের তিন দফা দাবি

১. বেতন স্কেল দশম গ্রেডে উন্নীতকরণ

২. ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড সমস্যার সমাধান

৩. শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতি

গত ৮–১২ নভেম্বর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে দেড় শতাধিক শিক্ষক আহত হন। পরবর্তীতে মন্ত্রণালয়ের আশ্বাসে কর্মস্থলে ফিরলেও অগ্রগতি না হওয়ায় তারা আবার কর্মবিরতিতে গেছেন।

গত ২৭ নভেম্বর ডিপিই মহাপরিচালক আবু নূর মো. শামসুজ্জামান আন্দোলনরত নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে বার্ষিক পরীক্ষা বর্জন না করার আহ্বান জানান। তবে দাবি পূরণের নিশ্চয়তা না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তে শিক্ষকরা অনড় রয়েছেন।

 

এমএ//

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন #প্রাথমিক #শিক্ষায় #অচলাবস্থা #শিক্ষকদের #কর্মবিরতিতে #অনিশ্চয়তায় #বার্ষিক #পরীক্ষা