গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী এলাকায় একটি বাসা থেকে রহিমা বেগম (৩৮) নামের এক নারীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। একই সময় নিহত নারীর স্বামী ইমরান হোসেনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) রাতের কোনাবাড়ী নওয়াব আলী মার্কেট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে তাদের ১৬ বছর বয়সী মেয়ে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সালাউদ্দিন গণমাধ্যমকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
নিহত রহিমা বেগম সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলার বিনোয়াটি গ্রামের শাজাহান সরকারের মেয়ে। আর তার স্বামী ইমরান হোসেন ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার আমতৈল গ্রামের সুরুজ আলীর ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ইমরান ও রহিমা তাদের মেয়েকে নিয়ে কোনাবাড়ীর ওই ভবনের পাঁচতলায় ভাড়া থাকতেন। ইমরান মাংস বিক্রির ব্যবসা করতেন এবং রহিমা বাসার কাজকর্ম দেখতেন। আজ সকালে পুলিশ খবর পায় যে, দম্পতিকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ ইমরান হোসেনকে অর্ধগলাকাটা অবস্থায় দেখতে পায়, যার পর তাকে দ্রুত গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ওসি মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, ‘দম্পতির মেয়ে দাবি করেছে, তার বাবা প্রথমে মাকে হত্যা করেছেন এবং পরে নিজের গলা কেটেছেন। তবে তার কথায় সন্দেহ রয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।‘
তিনি আরও জানান, রহিমা বেগমের মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং স্বামী ইমরান চিকিৎসার জন্য ভর্তি আছেন। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে এবং আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এমএ//
