ফিলিস্তিনের গাজা সীমান্তে সামরিক ঘাঁটি নির্মাণের পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। ইসরায়েলি অনুসন্ধানী সংবাদমাধ্যম শরিম জানিয়েছে, প্রস্তাবিত ঘাঁটি নির্মাণে ব্যয় হবে প্রায় ৫০ কোটি ডলার। যেখানে এক হাজারের বেশি মার্কিন সেনা ও ভারী অস্ত্র মোতায়েনের পরিকল্পনা রয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) ইরানি গণমাধ্যম প্রেস টিভি জানিয়েছে, মার্কিন এই উদ্যোগ মধ্যপ্রাচ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। অনেকে একে ইসরায়েলকে সহায়তা করে নতুন ধরনের সামরিক আগ্রাসনের ইঙ্গিত হিসেবে দেখছেন।
শরিম এর প্রতিবেদনে বলা হয়, এই ঘাঁটি তৈরি হলে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের সরাসরি সমন্বয় ছাড়াই গাজা সীমান্ত এলাকায় সামরিকভাবে সক্রিয় থাকতে পারবে। ইতিমধ্যে মার্কিন প্রতিনিধি দল সম্ভাব্য স্থানের বিষয়ে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সঙ্গে আলোচনা করেছে।
ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা এই পরিকল্পনাকে ‘এক দখলদারিত্বকে অন্য দখলদারিত্ব দিয়ে প্রতিস্থাপন’ বলে সমালোচনা করেছেন। তাদের দাবি, গাজায় কোনো বিদেশি সেনা মোতায়েনের পরিকল্পনা ফিলিস্তিনিদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের সরাসরি লঙ্ঘন।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ‘ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যাবিলাইজেশন ফোর্স (আইএসএফ)’ নামে একটি আন্তর্জাতিক বাহিনী গঠনের প্রস্তাব দিয়েছিলো। যা যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক, কাতার ও মিশরের নেতৃত্বে অন্তত দুই বছর গাজায় অবস্থান করবে বলে জানানো হয়েছিল।
সমালোচকদের মতে, পুনর্গঠন ও নিরাপত্তার নামে গাজাকে কার্যত নিরস্ত্র করা এবং প্রতিরোধ আন্দোলনের কাঠামো ধ্বংস করাই এই পরিকল্পনার মূল উদ্দেশ্য।
এসএইচ//