আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলে ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১০ জন ও আহত ২৬০ জন। সোমবার (০৩ নভেম্বর) ভোরে মাজার-ই-শরিফ শহরের কাছে ৬.৩ মাত্রার এই ভূমিকম্প আঘাত হানে বলে জানিয়েছে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (USGS)।
সংস্থাটি জানায়, ভূমিকম্পটির উৎপত্তি হয়েছিল মাজার-ই-শরিফ থেকে প্রায় ২৮ কিলোমিটার গভীরে। প্রায় পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষের এই শহর ও আশপাশের এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
সামানগান প্রদেশের স্বাস্থ্য বিভাগের মুখপাত্র সামিম জয়ান্দা জানান, এখন পর্যন্ত সাতজন নিহত ও দেড় শতাধিক আহতের খবর পাওয়া গেছে। হাসপাতালের প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
তালেবান সরকারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, বালখ ও সামানগান প্রদেশ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উদ্ধার ও ত্রাণকর্মীরা ইতোমধ্যে দুর্গত এলাকায় পৌঁছে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। আহতদের হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র শরফত জামান বলেন, সব হাসপাতালকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে এবং মৃত ও আহতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
USGS তাদের PAGER সিস্টেমে ‘কমলা সতর্কতা’ জারি করেছে, যা বড় ধরনের প্রাণহানি ও ব্যাপক ক্ষতির ইঙ্গিত দেয়।
এর আগে চলতি বছরের ৩১ আগস্ট আফগানিস্তানে ৬ মাত্রার আরেকটি ভয়াবহ ভূমিকম্পে দুই হাজারেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন—যা দেশটির ইতিহাসে অন্যতম প্রাণঘাতী ভূমিকম্প হিসেবে বিবেচিত। ২০২৩ সালেও হেরাত প্রদেশে এক বিধ্বংসী ভূমিকম্পে প্রায় দেড় হাজার মানুষের মৃত্যু এবং ৬৩ হাজারের বেশি ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছিল।
বিশেষজ্ঞদের মতে, আফগানিস্তান ভূমিকম্পপ্রবণ একটি দেশ। বিশেষ করে হিন্দুকুশের পার্বত্য অঞ্চলটি সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ, কারণ এখানেই ইউরেশিয়ান ও ভারতীয় টেকটোনিক প্লেটের মিলনস্থল অবস্থিত।
এসি//