আন্তর্জাতিক

মারা গেছেন থাইল্যান্ডের সাবেক রানী সিরিকিত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

থাইল্যান্ডের রাজা ভাজিরালংকর্নের মা রানী সিরিকিত মারা গেছেন। শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) স্থানীয় সময় রাত ১১টা ২১ মিনিটে ব্যাংককের একটি হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৩ বছর। শনিবার (২৫ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরে নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন রানী সিরিকিত। ২০১৯ সাল থেকে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন, আর সম্প্রতি তার শরীরে রক্তের সংক্রমণ ধরা পড়ে।

রাজপ্রাসাদের ঘোষণায় জানানো হয়েছে, রানী সিরিকিতের মরদেহ ব্যাংককের গ্র্যান্ড প্যালেসের দুসিত থর্ন হলে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শায়িত থাকবে। থাই রাজপরিবারের সদস্যরা এক বছরের জন্য শোক পালন করবেন।

তার মৃত্যুতে থাই প্রধানমন্ত্রী অনুতিন চার্নভিরাকুল মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠেয় আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনে যোগদানের পরিকল্পনা বাতিল করেছেন।

১৯৫০ সালের ২৮ এপ্রিল, রাজা ভূমিবলের রাজ্যাভিষেকের এক সপ্তাহ আগে তাদের বিয়ে হয়। প্যারিসে সঙ্গীত অধ্যয়নরত অবস্থায় সিরিকিতের সঙ্গে ভূমিবলের পরিচয় গড়ে ওঠে। সেসময় সিরিকিতের বাবা ছিলেন ফ্রান্সে নিযুক্ত থাই রাষ্ট্রদূত। ছয় দশকেরও বেশি সময় তারা একসঙ্গে ছিলেন, ২০১৬ সালে রাজা ভূমিবলের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে যার অবসান ঘটে।

রানী সিরিকিত থাইল্যান্ডে এক মাতৃত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব হিসেবে শ্রদ্ধাভাজন ছিলেন। ১৯৭৬ সাল থেকে তার জন্মদিন ১২ আগস্ট থাইল্যান্ডে জাতীয় মাতৃদিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।

১৯৬০-এর দশকে তিনি ও রাজা ভূমিবল একাধিকবার বিদেশ সফর করেন। তাদের সফরের সময় তারা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোয়াইট আইজেনহাওয়ার, ব্রিটিশ রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ এবং সংগীতশিল্পী এলভিস প্রিসলির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

১৯৮০ সালে বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রানী সিরিকিত বলেছিলেন, থাইল্যান্ডে রাজা ও রানীরা সবসময় সাধারণ মানুষের কাছাকাছি থাকেন। জনগণ রাজাকে জাতির পিতা হিসেবে দেখেন—এজন্যই রাজপরিবারের সদস্যদের ব্যক্তিগত জীবন খুব সীমিত থাকে।

২০১২ সালে স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে তিনি জনসমক্ষে খুব কমই দেখা দিতেন। মৃত্যুকালে রানী সিরিকিত তার এক পুত্র ও তিন কন্যা রেখে গেছেন।

 

এমএ//

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন #থাইল্যান্ড #রানী #রানীর মৃত্যু #রানী সিরিকিত