যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে হোয়াইট হাউসে নতুন বলরুমের নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। ফলে ঐতিহ্যবাহী এই বাড়ির পূর্ব দিকের (ইস্ট উইং) কিছু অংশ ভেঙে ফেলা হয়েছে। এই নির্মাণকাজের মোট বাজেট ধরা হয়েছে ২৫০ মিলিয়ন (২৫ কোটি) ডলার।
মঙ্গলবার (২১অক্টোবর) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়, হোয়াইট হাউসের ইস্ট উইংয়ের একটি অংশ ভাঙার কাজ শুরু হয়। পত্রিকাটি নির্মাণকাজের বেশ কিছু ছবি প্রকাশ করেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে একটি খননযন্ত্র (এক্সকাভেটর) ইস্ট উইংয়ের সামনের দিকটা ভেঙে দিয়েছে। সেখানে ভাঙা ইটপাথর আর স্টিলের তারের স্তূপ পড়ে আছে।
গত জুলাই মাসে প্রেসিডেন্ট তাঁর এক বক্তব্যে বলেছিলেন, ‘বিদ্যমান ভবনে কোনো হস্তক্ষেপ করা হবে না। এটি এর কাছাকাছিই থাকবে, কিন্তু স্পর্শ করবে না এবং বিদ্যমান ভবনের প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা জানাই, যেটির আমি সবচেয়ে বড় ভক্ত। এটি আমার প্রিয় স্থান। আমি এটিকে ভালোবাসি।’
ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে এই নির্মাণের ঘোষণা দেন, যেখানে তিনি বলেন, ‘বহু আকাঙ্ক্ষিত বলরুমের জন্য ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। ১৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে, প্রতিটি প্রেসিডেন্টই হোয়াইট হাউসে বিশাল পার্টি, স্টেট ভিজিট ইত্যাদির জন্য লোকজনকে জায়গা দিতে একটি বলরুম থাকার স্বপ্ন দেখেছেন।’
তিনি তাঁর পোস্টে আরও জানান যে,‘এই প্রকল্পটি অনেক উদার দেশপ্রেমিক দ্বারা ব্যক্তিগতভাবে অর্থায়ন করা হচ্ছে। এই তহবিলদাতাদের নাম এখনও হোয়াইট হাউস প্রকাশ করেনি।’
হোয়াইট হাউস প্রায় দুই শতক ধরে মার্কিন প্রেসিডেন্টদের ঐতিহাসিক বাসভবন হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ভেঙ্গে ফেলা ইস্ট উইংটি ১৯০২ সালে নির্মিত হয়েছিল এবং সর্বশেষ ১৯৪২ সালে এটিতে পরিবর্তন আনা হয়। ঐতিহ্যগতভাবে ইস্ট উইং যুক্তরাষ্ট্রের ফার্স্ট লেডির কার্যালয়। প্রেসিডেন্ট কাজ করেন ওয়েস্ট উইংয়ে। আর তাঁরা বসবাস করেন এক্সিকিউটিভ ম্যানশনে।
ট্রাম্প তার পোস্টে দাবি করেছিলেন যে, ইস্ট উইং হোয়াইট হাউস থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। যদিও এটি হোয়াইট হাউসের মূল কাঠামোর সঙ্গে সংযুক্ত। ইস্ট উইংয়ের দক্ষিণ অংশের বেশিরভাগ অংশ জুড়ে থাকা আচ্ছাদিত প্রবেশপথটি সম্পূর্ণরূপে ভেঙে ফেলার কাজ চলছে। ট্রাম্প এই বছর হোয়াইট হাউসে বেশ কয়েকটি পরিবর্তন এনেছেন। যার মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের সোনালী সাজসজ্জা দিয়ে ওভাল অফিস পুনরায় সাজানো, টেবিল-চেয়ার যুক্ত করার জন্য রোজ গার্ডেনের ঘাসের ওপর কংক্রিট দিয়ে প্রশস্ত পাটাতন তৈরি।
এসএইচ//