জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা জোবায়েদ হোসেন হত্যার ঘটনায় ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম পরিচয় প্রকাশ করেনি পুলিশ।
সোমবার (২০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ডিএমপি লালবাগ জোনের উপকমিশনার মল্লিক আহসান উদ্দিন সামি এ তথ্য জানিয়েছেন।
রোববার বিকেলে পুরান ঢাকার আরমানিটোলা এলাকার একটি ভবনের সিঁড়ি থেকে জোবায়েদের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি ওই এলাকায় উচ্চমাধ্যমিকের এক ছাত্রীকে প্রাইভেট পড়াতে যেতেন বলে জানা গেছে।
ঘটনার প্রায় ২৪ ঘণ্টা পার হলেও এখনো মামলা হয়নি। তবে, গতরাতে ওই ছাত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেয় বংশাল থানা পুলিশ।
এদিকে এ ঘটনার অন্যতম সন্দেহভাজন মাহির রহমানকে বংশাল থানায় সোপর্দ করেছেন তার মা রেখা রহমান।
তিনি বলেন, ‘আমার ছেলে অপরাধ করেছে। তাই আমি তাঁকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছি। ওই ছেলেটিও (জোবায়েদ) তো আরেক মায়ের সন্তান।’
মাহিরের মা রেখা রহমান বলেন, ‘সেদিন সন্ধ্যায় ওই ছেলে (জোবায়েদ) টিউশনিতে যাওয়ার পথে মাহিরের সঙ্গে দেখা হয়। সে মাহিরকে ডেকে মোবাইল থেকে বর্ষার ছবি মুছে ফেলতে বলে। মাহিরের এক বন্ধুও ঘটনাস্থলে ছিল। একপর্যায়ে মাহির ও জোবায়েদের মধ্যে ঝগড়া বাধে। জোবায়েদ দুর্ঘটনাবশত মারা যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার ছেলের সাথে ওই মেয়ের (বর্ষা) ৯ বছরের সম্পর্ক ছিল। তারা একই সাথে বড় হয়েছে। পরে তাদের মধ্যে একটা সম্পর্ক তৈরি হয়। কিন্ত কিছুদিন আগে ওই মেয়ে আমার ছেলেকে জানায় যে সে আর সম্পর্ক রাখবে না।’
আই/এ