আন্তর্জাতিক

যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন

গাজায় ইসরাইলি হামলা অব্যাহত, নারী-শিশুসহ নিহত ১১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

যুদ্ধবিরতির এক সপ্তাহও না পেরোতেই আবারও রক্তাক্ত হলো ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা। দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর বর্বর হামলায় একই পরিবারের ১১ জন প্রাণ হারিয়েছেন। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন সাত শিশু ও তিন নারী। শনিবার (১৮ অক্টোবর) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার সন্ধ্যায় গাজা সিটির জায়তুন এলাকায় আবু শাহবান পরিবারের একটি বেসামরিক গাড়িতে ট্যাংকের গোলা নিক্ষেপ করে ইসরাইলি সেনারা। পরিবারটি সেদিন নিজেদের ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি দেখতে যাচ্ছিল।

গাজার সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল জানান, নিহতদের বেশিরভাগই শিশু ও নারী। তিনি বলেন, “তাদের সতর্ক করা সম্ভব ছিল, কিন্তু তা না করে ইসরাইলি বাহিনী ইচ্ছাকৃতভাবে নিরীহ বেসামরিকদের ওপর হামলা চালিয়েছে। এটি স্পষ্টভাবে যুদ্ধবিরতির শর্ত ভঙ্গ।”

সংস্থাটি আরও জানায়, জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক কার্যালয়ের সহায়তায় নয়জনের মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে, তবে দুটি শিশুর দেহাবশেষ এখনো নিখোঁজ—বিস্ফোরণের তীব্রতায় সেগুলো ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে।

এই ঘটনাকে “গণহত্যা” আখ্যা দিয়ে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে হামাস। সংগঠনটি বলেছে, কোনো উসকানি ছাড়াই ওই পরিবারের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। একই সঙ্গে তারা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পসহ মধ্যস্থতাকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, ইসরায়েলকে যেন যুদ্ধবিরতি মেনে চলতে বাধ্য করা হয়।

এদিকে, বন্দি বিনিময় প্রক্রিয়া চলাকালেই গাজা মিডিয়া অফিস জানায়, শনিবার পর্যন্ত ইসরাইলি বাহিনীর হাতে অন্তত ৩৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। খাদ্য ও চিকিৎসাসহ জরুরি সহায়তাও সীমিত করে দেওয়া হয়েছে।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, গাজায় মানবিক সংকট আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। বর্তমানে উপত্যকার প্রায় অর্ধেক মানুষ দিনে ছয় লিটারেরও কম বিশুদ্ধ পানি পাচ্ছেন, যা ন্যূনতম মানের চেয়েও কম।

 

বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) বলেছে, যুদ্ধবিরতির পর থেকে তারা প্রতিদিন গড়ে ৫৬০ টন খাদ্য গাজায় পাঠাতে পারছে, যা দুর্ভিক্ষ ও অপুষ্টি ঠেকাতে প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন #যুদ্ধবিরতি #গাজা #ইসরাইল #ফিলিস্তিন