গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে ইসরাইলের বিরুদ্ধে সাংস্কৃতিক বয়কটের ঘোষণা দিয়েছে নেদারল্যান্ডস ও বেলজিয়ামের তিন শতাধিক জাদুঘর, সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ও শিল্পী। শুক্রবার (০৩ অক্টোবর) প্রকাশিত বিবৃতিতে জানানো হয়, এ উদ্যোগে ৩০২টি প্রতিষ্ঠান ও ৮৭৮ জন শিল্পী স্বাক্ষর করেছেন। খবর আনাদোলু।
স্বাক্ষরকারীরা বলেন, যুদ্ধাপরাধ, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার মুখে শিল্প-সংস্কৃতির জগৎ আর নীরব থাকতে পারে না। তবে বয়কটের লক্ষ্য কোনো ইহুদি ব্যক্তি বা সাধারণ ইসরাইলি নাগরিক নয়, এটি কেবল রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ও মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িত কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধেই কার্যকর হবে।
এই উদ্যোগে যুক্ত হয়েছে নেদারল্যান্ডস ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল, হল্যান্ড অপেরা, গেন্টের মিউজিয়াম অব ফাইন আর্টস, মাস্ট্রিখ্টের বনেফান্টেন মিউজিয়াম এবং রয়্যাল ফ্লেমিশ থিয়েটারের মতো শীর্ষ প্রতিষ্ঠান। স্বাক্ষরকারীদের তালিকায় আছেন খ্যাতনামা শিল্পী মার্লেন ডুমাস, লেখক টম লানোয়ে, ইতিহাসবিদ ডেভিড ভ্যান রেইব্রুক, কবি রামজি নাসর ও সমাজতাত্ত্বিক সিনান কানকায়া।
বিবৃতিতে গাজার মসজিদ, স্কুল, গ্রন্থাগার ও ঐতিহাসিক স্থানে ইসরাইলি হামলার তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, সাংবাদিক, চিকিৎসক, সাহায্যকর্মী ও শিল্পীরাও হামলার শিকার হচ্ছেন। পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে দীর্ঘদিনের দমন-পীড়ন ও উচ্ছেদের ফলে ফিলিস্তিনিদের জীবনযাত্রা এখন “প্রায় অসম্ভব” হয়ে উঠেছে।
ঘোষণায় আরও স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়, দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবৈষম্যের অবসানে সাংস্কৃতিক বয়কট বড় ভূমিকা রেখেছিল। তাই শুধু সংস্কৃতি নয়—খেলাধুলা, শিক্ষা, ব্যবসা ও রাজনীতিতেও ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
এমএ//