পাবনা সদর উপজেলার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ভারতের নাগরিক এমন অভিযোগ উঠেছে। এ ছাড়া সুখ রঞ্জন নামের ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে জালিয়াতি করে শ্বশুরের নামে থাকা সরকারি সম্পত্তি নিজের নামে করার চেষ্টার অভিযোগও আছে।
সম্প্রতি এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আশরাফুল কবীরে কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। এ বিষয়ে ইতোমধ্যেই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে তিনি নিশ্চিত করেছেন।
অভিযোগের অংশ হিসেবে বলা হয়েছে, সুখ রঞ্জন তার শ্বশুর দীপক কুমার রায় নামে থাকা সরকারি লিজকৃত সম্পত্তি জালিয়াতি করে নিজের নামে নেওয়ার চেষ্টা করেছেন।
সুখ রঞ্জনের শ্যালক সুমন কুমার রায় বলেন, ‘আমার বাবা মারা যাওয়ার পর মা লিজ পান। মা মারা যাওয়ার পর শুধুমাত্র আমার বোনকে উত্তরসূরি বানিয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করা হয়। এখন আমার বাড়িতে বসবাস করে আমাকে উচ্ছেদ করতে চায়’।
জানা যায়, সুখ রঞ্জন চক্রবর্তী পাবনা সদর উপজেলার বালিয়াহালট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ওই শিক্ষকের নামে ভারতীয় নাগরিকত্ব ও আধার কার্ড পাওয়া যায়। সেখানে ঠিকানা ও পরিচয় হিসেবে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনার দক্ষিণ ব্যারাকপুর, দমদমের সূর্যসেন পল্লির ৪৬৭ নং এলাকার নির্মল কুমারের ছেলে বলে উল্ল্যেখ আছে।
তার ভারতের জাতীয় পরিচয়পত্রের নাম্বার ০০০০/০০৮০২/৭৬৩৯৭, আধার কার্ডের নাম্বার ৪০৫০২২৩৪৩৩৫১।

তবে পাবনার ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা হিসাবেও তাকে চিহ্নিত করা হয়।
সূত্রে জানা গেছে, সুখ রঞ্জন বাংলাদেশ সরকারের চাকরির নিয়ম উপেক্ষা করেও প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ভারতে তার জমি ও ফ্ল্যাট রয়েছে। স্ত্রী ও বড় ছেলে ভারতে থাকলেও, ছোট ছেলে বাক প্রতিবন্ধী হওয়ায় তাকে নিয়ে পাবনায় বসবাস করেন। মাঝে মাঝে ১৫ দিন থেকে ১ মাস ছুটি নিয়ে ভারতে যাতায়াত করেন।

এদিকে অভিযুক্ত শিক্ষক সুখ রঞ্জন চক্রবর্তী অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,
‘এগুলো সব মিথ্যা অভিযোগ। এসব কাগজপত্র বানানো সম্ভব। আমার স্ত্রী-সন্তানরা ভারতে চলে গেছে, তাদের সঙ্গে আমার যোগাযোগ নেই। আমার সব বৈধ নথিপত্র আছে। তদন্তে সব প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারব’।
আই/এ