বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘বিভিন্ন রাজনীতিক দল কতগুলো বক্তব্য দিচ্ছে। বক্তব্য দেওয়ার অধিকার সকলের আছে কিন্তু সহকর্মীবৃন্দ বক্তব্য দিতে গিয়ে দেশের পরিস্থিতি অস্বাভাবিক হয়, স্বৈরাচার ফিরে আসার পরিস্থিতি তৈরি হয়, সেটি কোনো অবস্থাতেই ভালো হবে না।’
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঠাকুরগাঁও বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচিত হলে সকল ষড়যন্ত্রকে প্রতিহত করে জনগণের চাহিদা অনুযায়ী কাঙ্ক্ষিত পরিমাণে উন্নয়ন করবে। যতক্ষণ পর্যন্ত বাংরাদেশ গণতন্ত্রের রেল লাইনে উঠে না আসে ততক্ষণ বিএনপির আন্দোলন থেমে থাকবে না।’
তিনি বলেন, ‘দেশে জবাবদিহিতার সকল ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছিল। নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছিল। মানুষকে গুম, খুন ও হত্যা করা হয়েছিল। ১৯৭১ সালে লাখো প্রাণের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। আমাদের দেশের মানুষের অনেক প্রত্যাশা ছিল। তখন থেকে গণতন্ত্রের টুটি চেপে ধরার জন্য ষড়যন্ত্রের জাল তারা বুনেছিল। কখনও তারা সফলও হয়েছিল। যারা স্বৈরাচার ছিল তারা গুম, খুন, মিথ্যা মামলার রাজনীতি শুরু করেছিল। লুটপাটের রাজনীতি শুরু করেছিল, মেগা প্রকল্পের নামে মেগা দুর্নীতি শুরু করেছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজকে যদি আমরা জনগণকে বাইরে রেখে, জনগণের মতামতের তোয়াক্কা না করে শুধু নিজেরাই কথা বলতে থাকি তাহলে দেশের জন্য অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। যা দেশের মানুষ চায় না। জনগণ যাকে চাইবে তারাই দেশকে নেতৃত্ব দেবে।’
প্রসঙ্গত, ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে সভাপতি হিসেবে মির্জা ফয়সল আমিন ও সাধারণ সম্পাদক পদে মো. পয়গাম আলীকে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়।
আই/এ