এবার যুদ্ধের হাতছানি দিচ্ছে দক্ষিণ আমেরিকায়। কমিউনিস্ট শাসিত ভেনেজুয়েলা ঘিরে যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটনের এমন উস্কানিমূলক পদক্ষেপে পাল্টা ব্যবস্থা নিয়েছে ভেনিজুয়েলা। যুক্তরাষ্ট্রকে মোকাবিলায় যুদ্ধজাহাজ ও ড্রোন মোতায়েন করেছে দেশটি। পাশাপাশি সীমান্তে ১৫ হাজার সেনা মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন মস্কোপন্থী প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো।
দেশ দুটির এমন যুদ্ধাংদেহী অবস্থানের পিছনে মাদক ইস্যু। ওয়াশিংটনের অভিযোগ, ফেন্টানিলসহ ক্ষতিকর বেশ কিছু মাদক ভেনেজুয়েলা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অবাধে প্রবেশ করছে। মাদক সম্রাটদের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নিচ্ছেন না দেশটির প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো।
এমন অভিযোগ তুলে গেলো সপ্তাহে ভেনিজুয়েলা উপকূলে তিনটি যুদ্ধজাহাজ পাঠায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এছাড়াও সোমবার একটি গাইডেড মিসাইল যুদ্ধজাহাজ ও একটি পারমাণবিক সাবমেরিন মোতায়েনের নির্দেশ দেয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট। জুদ্ধজাহাজের পাশপাশি সামরিক বাহিনীর সাড়ে চার হাজার সদস্য পাঠিয়েছেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের এমন উস্কানিমূলক পদক্ষেপে নিন্দা জানিয়েছেন ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো। তাঁর অভিযোগ, মাদক ইস্যুর আড়ালে দেশটিতে সরকার পরিবর্তনের চেষ্টা করছে ওয়াশিংটন। যুক্তরাষ্ট্রের এমন পদক্ষেপ আঞ্চলিক নিরাপত্তার
২০২৪ সালের জুলাইয়ে নির্বাচনে জয়লাভ করে তৃতীয়বারের মত কমিউনিস্ট শাসিত ভেনিজুয়েলার ক্ষমতায় বসেন প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরে। তবে ওই নির্বাচনকে ত্রুটিপুর্ণ বলে আখ্যায়িত করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের অংশ হিসেবে ভেনেজুয়েলার ওপর তেল নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ওয়াশিংটন। তবে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ চাপ মোকাবিলা করে এখনো ক্ষমতায় টিকে আছেন রাশিয়াপন্থী প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো।
এনএস/