রাজধানীর পল্লবীতে পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনে নিহত গাড়িচালক ইশতিয়াক হোসেন জনি হত্যা মামলায় দুই পুলিশ কর্মকর্তার দণ্ড বহাল রেখেছে হাইকোর্ট। দণ্ডপ্রাপ্ত দুই কর্মকর্তা হলেন পল্লবী থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহিদুর রহমান ও সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) কামরুজ্জামান। এছাড়া মামলার আরেক আসামি এএসআই রাশেদুল হাসানের যাবজ্জীবন দণ্ড কমিয়ে ১০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত।
সোমবার (১১ আগস্ট) বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি এ কে এম রবিউল হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে আরেক আসামি পুলিশের সোর্স রাসেলকে সাত বছরের সাজা থেকে খালাস দেওয়া হয়েছে। অপর আসামি পুলিশের সোর্স সুমন সাজাভোগ করে আগেই কারাগার থেকে বেরিয়ে গেছেন। রায়ে যাবজ্জীবন বহাল থাকা আসামিদের ২ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ভুক্তভোগী জনির পরিবারকে দিতে বলা হয়েছে।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০১৪ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় পল্লবীর ১১ নম্বর সেকশনের বি ব্লকের ইরানি ক্যাম্পের বাসিন্দা মো. বিল্লালের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান ছিল। সেখানে সুমন নারীদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন। এ সময় ইশতিয়াক হোসেন জনি ও তার ভাই ইমতিয়াজকে চলে যেতে বলেন সুমন। এ নিয়ে সুমনের সঙ্গে দুই ভাইয়ের বাগবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে সুমনের ফোনে পুলিশ এসে জনি ও ইমতিয়াজকে ধরে নিয়ে যায় এবং থানায় নিয়ে দুই ভাইকে নির্যাতন করে। এতে জনির অবস্থা খারাপ হলে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় ইমতিয়াজ হোসেন একই বছরের ৭ আগস্ট মামলা করেন। সে মামলায় জাহিদুর রহমানসহ আট জনকে আসামি করা হয়। ২০১৩ সালে হওয়া নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে এটিই প্রথম মামলা।
আদালতে আসামিপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন– সিনিয়র আইনজীবী এস এম শাহজাহান, সরওয়ার আহমেদ, মো. আবদুর রাজ্জাক ও নাজমুল করিম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন– অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বদিউজ্জামান তপাদার। অন্যদিকে বাদীপক্ষে আইনজীবী এস এম রেজাউল করিম শুনানি করেন।
আই/এ