সকালে ঘুম থেকে উঠতে তাড়াহুড়ো করলেও অফিসে পৌঁছানোর সময় ঠিক সময়ে পৌঁছানো যে সহজ কাজ নয় তা নিশ্চয়ই অনেকেই জানেন। অনেকেরই প্রতিদিন একই পরিস্থিতি। অ্যালার্ম বেজে উঠলেও ঘুম থেকে উঠতে একেবারে অসম্ভব মনে হয়। আর সেই কারণে বসের রেগে যাওয়া, সবার সামনে অস্বস্তি বা কলিগদের কটু মন্তব্যের শিকার হওয়া। এগুলো এখন একঘেয়ে হয়ে গিয়েছে। তবে এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসা এবং সময়মতো অফিসে পৌঁছানো যে কোনো কঠিন কাজ নয় তাও কিন্তু সঠিক।
কিছু সহজ নিয়ম মেনে চললেই আপনি প্রতিদিন সময়মতো ঘুম থেকে উঠতে পারবেন আর এর ফলে সবার সামনে আপনার দুর্দশাও আর সবার কাছে দৃশ্যমান হবে না।
১. মোবাইল থেকে দূরে থাকুন
প্রথমেই মনে রাখতে হবে, ঘুম ভালো হতে হবে। আর ঘুম ভালো হলে সকালে ওঠাও সহজ হয়ে যাবে। রাতে মোবাইল বা ল্যাপটপের স্ক্রিনে চোখ আটকে রাখা একেবারে বন্ধ করতে হবে। প্রচুর মানুষ আছেন যারা রাতের খাবারের পরও মোবাইল বা কম্পিউটার নিয়ে বসে থাকেন, যা ঘুমের মান নষ্ট করে দেয়। ঘুমের আগে এক নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিছানায় চলে যান এবং টেলিভিশন বা ফোন ব্যবহার বন্ধ করে দিন। নিয়মিত এই অভ্যাসে পড়লে কিছু দিন পর দেখবেন, অ্যালার্ম ছাড়াই আপনি সকাল সকাল উঠতে শুরু করবেন।
২. রাতে ভারী খাবার এড়িয়ে চলুন
সন্ধ্যায় ভারী খাবার খাওয়া এড়ানো উচিত। এতে রাতের ঘুমে ব্যাঘাত ঘটে এবং পরবর্তীতে সকালে উঠতে সমস্যা হয়। তেল-ঝাল-মশলাদার খাবার আপনার হজম প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করতে পারে, যা একেবারে পরের দিনের কাজের ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি করে। এমনকি যদি আপনি কখনও কিছু না খেয়ে ঘুমাতে যান, তাও ক্ষতিকর হতে পারে, কারণ এতে রাতে ঘুম আসতে দেরি হয় এবং পরবর্তী সকালে আরও বেশি তাড়াহুড়ো করতে হয়।
৩. সকালে ওঠার জন্য একটি লক্ষ্য তৈরি করুন
অনেক সময় সকালে উঠতে আরও একটি সহজ উপায় হতে পারে নিজের কাছে কোনও কারণ বা লক্ষ্য তৈরি করা। একটি ছোট কাজ যেমন - বাড়ির কোনও দায়িত্ব বা এমন কিছু করতে যা আপনাকে আনন্দ দেয় এটি আপনার মনকে উদ্দীপ্ত করবে এবং অ্যালার্মের বাজানোর পর তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠতে সাহায্য করবে। প্রথমদিকে হয়তো একটু কঠিন লাগবে, তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটি আপনার অভ্যাস হয়ে যাবে। একসময় দেখবেন, আপনার ঘুম থেকে ওঠার জন্য আর অ্যালার্মের প্রয়োজন পড়বে না।
এভাবে কিছু নিয়ম মেনে চললে আপনার অফিসের সময়মতো পৌঁছানো আর কোনও অসুবিধা হবে না। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, বস বা সহকর্মীদের কটূক্তি থেকে মুক্তি পেয়ে নিজের কাজের প্রতি মনোযোগী হওয়া সম্ভব হবে। নিজের সময় ও জীবনকে যতটা সম্ভব নিয়ন্ত্রণে রাখুন তবে নিশ্চয়ই দেখা যাবে, সবার সামনে আপনি একটি নতুন ব্যক্তিত্ব নিয়ে হাজির হচ্ছেন। অতএব, এবার আর দেরি নয়। পরিবর্তন শুরু করুন আজই।
এসকে//