লাইফস্টাইল

মোবাইল সাথে রেখে ঘুমানো, স্বাস্থ্যঝুঁকি জানুন

লাইফস্টাইল ডেস্ক

আজকাল অনেকেই ঘুমানোর সময় মোবাইল ফোন মাথার পাশে রেখে ঘুমান। তবে এই অভ্যাসটি দীর্ঘমেয়াদী শরীরের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে। ঘুমের সময় মোবাইল ফোন মাথার কাছে রাখা বা শরীরের নিকটবর্তী স্থানে রাখা থেকে বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যার উদ্ভব হতে পারে।

কেননা, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে রেডিওফ্রিকোয়েন্সি রশ্মি নির্গত হয়, যা শরীরে প্রবাহিত হয়ে দীর্ঘ সময় ধরে প্রভাব ফেলতে পারে। এই রশ্মিগুলি কোষের ডিএনএ ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে, যা পরবর্তীতে ক্যানসারের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। যদিও এখনও এই বিষয়ে তেমন কোন সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়নি।  তবুও এই বিষয়ে গবেষণা চলছে।

ঘুমানোর সময় মোবাইল ফোন শরীরের কাছাকাছি রাখলে মস্তিষ্কের কার্যক্রমের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। এই রশ্মিগুলি মস্তিষ্কের নিউরোট্রান্সমিটারগুলির ওপর প্রভাব ফেলতে পারে যার ফলে ঘুমের পরিমাণ কমে যেতে পারে এবং মানসিক চাপ ও উদ্বেগ বাড়তে পারে।

অন্যদিকে, মোবাইল ফোনের স্ক্রিনের ব্লু লাইটও ঘুমের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। রাতে মোবাইল ফোনের স্ক্রিন থেকে নিঃসৃত ব্লু লাইট শরীরের ঘুমের হরমোন মেলাটোনিনের কার্যকারিতা বাধাগ্রস্ত করে যার ফলে ঘুমের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।

যা করবেন- 

মোবাইল ফোন দূরে রাখুন: 

ঘুমানোর আগে মোবাইল ফোন কমপক্ষে এক মিটার দূরে রাখার চেষ্টা করুন।

রেডিওফ্রিকোয়েন্সি এক্সপোজার কমান: 

মোবাইল ফোনের রেডিওফ্রিকোয়েন্সি রশ্মির প্রভাব কমাতে ফোনটি ‘এয়ারপ্লেন মোড’ বা ‘নীরব মোড’ এ রাখুন।

স্ক্রিন টাইম কমান: 

ঘুমানোর অন্তত এক ঘণ্টা আগে মোবাইল ফোন বা ট্যাবলেটের স্ক্রিন থেকে দূরে থাকুন।

এছাড়াও ঘুমানোর সময় মোবাইল ফোনের রিংটোন বা বার্তা সাউন্ড বন্ধ রাখলে মানসিক চাপ এবং ঘুমের গুণগত মান আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।

এতোসব সতর্কতার পরেও আজকালকার সমাজে মোবাইল ফোন আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অপরিহার্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে আমাদের এই প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত যাতে শরীর এবং মনের স্বাস্থ্যের প্রতি আমাদের যত্ন নেওয়া যায়।

এমনকি যদি মোবাইল ফোন ব্যবহার করতেই হয়, তবে সর্বদা চেষ্টা করুন ঘুমানোর সময় এটি আপনার কাছে না রেখে অন্য কোথাও রাখুন। এতে আপনার স্বাস্থ্য ভালো এবং ঘুমের মানও ভালো হবে।

এসকে// 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন #মোবাইল ফোন #ঘুম