সৌদি আরবে চলমান অভিবাসনবিরোধী অভিযানে ২৪ থেকে ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে ২২ হাজারের বেশি বিদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী।
রোববার (০৩ আগস্ট) সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতি সূত্রে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সৌদি গ্যাজেট এ তথ্য জানায়।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সৌদির বিভিন্ন শহরে পরিচালিত অভিযানে মোট ২২,১৪৭ জনকে আটক করা হয়েছে। আটক হওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আবাসন, শ্রম এবং সীমান্ত নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আবাসন আইন লঙ্ঘনের দায়ে আটক হয়েছেন ১৩,৮৩৫ জন শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ৩,৫৪০ জন এবং সীমান্ত সুরক্ষা আইন লঙ্ঘনের কারণে গ্রেপ্তার হয়েছেন ৪,৭৭২ জন। এছাড়া সীমান্ত অতিক্রম করে অবৈধভাবে সৌদি আরবে প্রবেশের চেষ্টাকালে আরও ১,৮১৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদের মধ্যে ৬২ শতাংশ ইথিওপিয়ান, ৩৬ শতাংশ ইয়েমেনি এবং বাকি অংশ অন্যান্য দেশের নাগরিক। অভিযানে প্রবাসীদের আশ্রয় ও পরিবহনের অভিযোগে সৌদি আরবে বসবাসকারী আরও ২০ জনকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বর্তমানে ২১,১৪৩ জন আটক প্রবাসীর বিরুদ্ধে আইনানুগ প্রক্রিয়া চলছে, যাদের মধ্যে ১৮,৩২৬ জন পুরুষ এবং ২,৮১৭ জন নারী।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আটক ব্যক্তিদের মধ্যে ১৩,৫৬৯ জনকে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে তাদের দূতাবাসে পাঠানো হয়েছে প্রয়োজনীয় নথিপত্র সংগ্রহের জন্য। আরও ৩,৫৬৬ জনকে ফেরত পাঠানোর চূড়ান্ত নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে ১০,৮২০ জনকে সৌদি আরব থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
উলেখ্য, মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটিতে অবৈধ অনুপ্রবেশে সহযোগিতা করলে সর্বোচ্চ ১৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড ও ১০ লাখ সৌদি রিয়াল পর্যন্ত জরিমানার বিধান রয়েছে। এই বিষয়ে একাধিকবার সতর্কবার্তা দিয়েছে সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। প্রায় ৩ কোটি ৪৮ লাখ মানুষের বসবাসের দেশ সৌদি আরবে বিভিন্ন দেশের বিপুল সংখ্যক অভিবাসী শ্রমিক কর্মরত।
দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো প্রায়ই অবৈধ অভিবাসনবিরোধী অভিযান এবং অবৈধ প্রবাসীদের গ্রেপ্তারের খবর প্রকাশ করে থাকে।
এসকে//