পঞ্চগড় সীমান্ত দিয়ে নারী ও শিশুসহ ৯ জনকে অবৈধ ভাবে পুশ ইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের সদস্যরা। এর আগে ভারতের শিলিগুড়ি থেকে আটক এক বাংলাদেশি তরুণীকে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর সীমান্ত দিয়ে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করেছে বিএসএফ।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) রাতে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা সীমান্ত দিয়ে ও গভীর রাতে পঞ্চগড় সদর উপজেলার ঘাগড়া সীমান্ত দিয়ে তাদের পুশ ইন করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পঞ্চগড়-১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মনিরুল ইসলাম এবং সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ হিল জামান।
বিজিবি জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে তেঁতুলিয়ার বাংলাবান্ধা সীমান্তে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠকের মাধ্যমে দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার পপি রায় নামের এক তরুণীকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে বিএসএফ। পপি দীর্ঘ এক বছর শিলিগুড়িতে স্বামীর সঙ্গে বসবাস করে স্থানীয় একটি মন্দিরে কাজ করছিলেন। সম্প্রতি তাকে আটক করে বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করে শিলিগুড়ি পুলিশ। পরিচয় নিশ্চিতের পর তাকে ফেরত পাঠানো হয়।
তবে একই রাত সাড়ে ৮টার দিকে সীমান্তের মেইন পিলার ৭৩২ এর ৪ সাব পিলার এলাকা দিয়ে তাদের পুশইন করা হয়। পরে বাংলাদেশের ২ কিমি অভ্যন্তরে আছমা নামে এক নারী মহিলা ও তার তিন শিশু সন্তানকে বিজিবির টহল দল কর্তৃক আটক করে।
আটককৃত ব্যক্তিদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা অবৈধভাবে ৭/৮ মাস যাবৎ ভারতের মুম্বাইয়ে বসবাস করছিল। আছমার স্বামী সেলিম মোড়ল একজন ভারতীয় নাগরিক। মুম্বাই পুলিশ তাদের আটক করে বিমানে শিলিগুড়িতে পাঠায়, পরে বিএসএফ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পুশ ইন করে। তারা যশোর জেলার বাসিন্দা।
এদিকে,একই দিন রাতে সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের সীমান্ত এলাকা থেকে ৫ নারীকে পুশ ইন করেছে বিএসএফ। নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ঘাগড়া বিওপির সীমান্তের মেইন পিলার ৭৫৬ এলাকা দিয়ে তাদের পুশইন করা হয়।
পরে বাংলাদেশের ২ কিমি অভ্যন্তরে ডাংগিপুকুর বাজার নামক স্থানে পুশ ইন হওয়া ৫ জন নারীকে হাড়িভাসা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আটক করে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যান। পরবর্তীতে সংবাদ পেয়ে ঘাগড়া বিওপি কমান্ডার হাড়িভাসা ইউনিয়ন পরিষদে গেলে চেয়ারম্যান বিজিবির কাছে হস্তান্তর না করে পঞ্চগড় সদর থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।
আটককৃতরা যশোর ও ময়মনসিংহ জেলার বাসিন্দা।
আই/এ