আন্তর্জাতিক

আবারও থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে সংঘর্ষ, নিরাপত্তা পরিষদের জরুরী বৈঠক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

সীমান্তে শুক্রবার সকালে আবারও সংঘর্ষ জড়িয়েছে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার সেনারা।  থাই সেনাবাহিনী বলছে, হামলায় কম্বোডিয়ার বাহিনী ভারী অস্ত্র, ফিল্ড আর্টিলারি ও বিএম-২১ রকেট সিস্টেম ব্যবহার করেছে। পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে থাই সেনারা পাল্টা হামলা চালিয়েছেন

গেলো বৃহস্পতিবার সীমান্তে উভয় পক্ষের গোলাবর্ষণে কমপক্ষে ১৬ বেসামরিক লোক নিহত হয়। থাইল্যান্ড এফ-১৬ যুদ্ধবিমান দিয়ে কম্বোডিয়ার লক্ষ্যবস্তুতে বোমা হামলা চালায়। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ দুটির মধ্যে পুরোনো সীমান্ত উত্তেজনা এ বিরল সশস্ত্র সংঘাতে রূপ নিল

দুই দেশই সীমান্তের বিতর্কিত একটি এলাকায় সকালে সংঘর্ষ শুরুর জন্য একে অপরকে দায়ী করেছে। প্রথমে হালকা অস্ত্র থেকে গুলিবর্ষণের মাধ্যমে শুরু হওয়া এ সংঘর্ষ পরে ভারী গোলাবর্ষণে রূপ নেয়। অন্তত ছয় স্থানে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়েছে। এলাকাগুলোর ওপর সার্বভৌমত্ব নিয়ে বহু বছর ধরেই দুই পক্ষে বিতর্ক চলছে।

এ সংঘাতে থাইল্যান্ড ছয়টি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে। এর মধ্যে একটি দিয়ে কম্বোডিয়ার সামরিক অবস্থানে আঘাত হানা হয়। থাই সামরিক বাহিনীর ভাষ্য, এ বিমান হামলার উদ্দেশ্য ছিল সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানা

অন্যদিকে কম্বোডিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ হামলাকে ‘বেপরোয়া ও নৃশংস সামরিক আগ্রাসন’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।

দুই দেশের মধ্যে গত ১৩ বছরে এটিই সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা। গত বুধবার থাইল্যান্ড নমপেন থেকে নিজের রাষ্ট্রদূতকে ফিরিয়ে আনে ও কম্বোডিয়ার রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করে। এর আগে থাই সেনাবাহিনীর একজন সদস্য স্থলমাইন বিস্ফোরণে পা হারান। থাইল্যান্ড দাবি করে, মাইনটি প্রতিপক্ষ বাহিনীর সদস্যরাই সম্প্রতি পুঁতে রেখেছিলেন। কম্বোডিয়া এ দাবিকে ‘মিথ্যা’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে

এ সংঘাত নিয়ে আজ জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে

 

 

 

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন #থাইল্যান্ড #কম্বোডিয়া