২০১০ সালে রাজধানীর কদমতলী থানা এলাকায় মোসাম্মৎ ইয়াসমিন আলম ও তার মেয়ে ইরিনা আলম তানহাকে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করার ঘটনায় তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, মো. আল আমিন, মো. মিরাজ মোল্লা ও নুর আলম। আসামি নুর আলম বর্তমানে পলাতক রয়েছেন। দণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেককে আসামিকে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
রোববার (২০ জুলাই) ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক নার্গিস ইসলাম এই রায় দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ ওয়ালিউল ইসলাম তুষার জানান, রায় ঘোষণার সময় আসামি আল-আমিন ও মিরাজকে কারাগার থেকে আদালত হাজির করে পুলিশ। নুর আলম পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, পারিবারিক কলহের জেরে পরিকল্পিতভাবে ভিকটিমের স্বামীর আগের স্ত্রী ও অন্যান্য আসামিদের সহযোগিতায় ২০১০ সালের ৮ মে গলায় ফাঁস দিয়ে এবং হাত-পা বেঁধে ইয়াসমিন আলম ও তার মেয়ে ইরিনা আলম তানহাকে হত্যা করা হয়।
ওই ঘটনায় রাজধানীর কদমতলী থানায় নিহতের ভাই মনির হোসেন বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০১০ সালের ৩১ আগস্ট তিন আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন গোয়েন্দা পুলিশ।
২০২২ সালের ৮ জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেওয়া হয়। বিচার চলাকালে ১৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে এই রায় দেন বিচারক।
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপক্ষ।
আই/এ
