ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় সমাবেশে যোগ দিতে যাওয়ার পথে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ফরিদপুরের এক উপজেলা আমির, মাওলানা আবু সাঈদ। এ সময় আহত হয়েছেন আরও দুই শীর্ষস্থানীয় নেতা।
দুর্ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার (১৯ জুলাই) দিবাগত রাত প্রায় পৌনে ৩টার দিকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা চৌরাস্তা মোড়ে। আহতদের তাৎক্ষণিকভাবে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তারা বর্তমানে আশঙ্কামুক্ত।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ফরিদপুরের ভাঙ্গা চৌরাস্তা মোড়ে যাত্রা বিরতি দিয়ে গাড়ি পার্কিং করে চা খাচ্ছিলেন নেতাকর্মীরা। এ সময় দাকোপ উপজেলা আমীর মাওলানা আবু সাঈদ দেখতে পান তার গাড়ির ব্যানারটি খুলে গেছে। ঠিক করার জন্য তিনি নিজেসহ কয়েকজন কাজ করছিলেন। এ সময় পিছন দিক থেকে আসা রয়্যাল পরিবহনের একটি বাস তাদের ধাক্কা দিয়ে চলে যায়। ঘটনাস্থলে মাওলানা আবু সাঈদ নিহত হন। আর আহত হন জামায়াত কর্মী মো. আনিসুর রহমান ও মো. ইকবাল হোসেন। আহতদেরকে উদ্ধার করে দ্রুত ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মাওলানা আবু সাঈদ চালনা বিল্লালিয়া আলিম মাদরাসার সহকারী মৌলভী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার স্ত্রী ও চার মেয়ে রয়েছে। আহত মো. আনিসুর রহমান চালনা মোহাম্মদ আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে কর্মরত। মাওলানা আবু সাঈদের কফিন দাকোপে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন বলেন, রাত ৩টার দিকে সড়ক দুর্ঘটনায় একজন ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এছাড়া ২/৩ জন আহত হন। আহতদের হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে এবং তারা চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ঘটনায় জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজন ও সহকর্মীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, মাওলানা আবু সাইদ ছিলেন ইসলামী আন্দোলনের প্রতি নিবেদিতপ্রাণ। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তাঁকে শহীদের মর্যাদা দান করুন এবং জান্নাতুল ফেরদাউস নসীব করুন। আমিন।
এসি//