বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন চায় জামায়াত। এজন্য নির্বাচনী প্রস্তাব ও জুলাই সনদ আইনি ভিত্তির মাধ্যমেই নির্বাচন হতে হবে। তবেই নির্বাচন নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য হবে।
রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বসুন্ধরায় জামায়াত ইসলামীর কার্যালয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ইলেকশন অবজারভেশন মিশনের উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠককালে তিনি এ কথা বলেন।
বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার জানান, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে পর্যবেক্ষণ করা হবে। সেই ব্যাপারে তারা বাংলাদেশে এসেছেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে মতবিনিময় করছেন।
তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে ইইউ ৬৪টি জেলায় নির্বাচনে পর্যবেক্ষণ করতে চান। এ প্রেক্ষিতে জামায়াতে ইসলামীর আমির জানতে চান, কীভাবে ইইউ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন।
জবাবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ইলেকশন অবজারভেশন টিম জানান, তাদের একজন করে প্রতিনিধি প্রত্যেক জেলায় পর্যবেক্ষণে যাবেন, আর একটি টিম সব জায়গায় মুভ করবেন। নির্বাচনের পর তাদের নির্বাচন পর্যবেক্ষনের খুঁটিনাটি দেশবাসীর সামনে রিপোর্ট আকারে পেশ করবেন।
নির্বাচন সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ করতে সরকারকে প্রয়োজনীয় সাপোর্ট ও কারিগরি সহযোগিতা যতটুকু দেওয়া সম্ভব, সেটি প্রদান করতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ইলেকশন অবজারভেশন টিমের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন জামায়াত আমির।
বৈঠকে ইইউ টিম জানতে চেয়েছেন, জামায়াতে ইসলামী যদি আগামীতে রাষ্ট্রের দায়িত্ব পায়, তাহলে মূল এজেন্ডা কী হবে?
জবাবে জামায়াত আমির তিনটি বিষয় উল্লেখ করেছেন। প্রথমত, এ দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে নৈতিকতা, উৎপাদনমুখী, টেকনিক্যাল, দক্ষতা, বৈষয়িক, মানবিক— সব দিক থেকে নাগরিকরা যোগ্য হতে পারে, সে ধরনের শিক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। দ্বিতীয়ত,দুর্নীতি মুক্ত সমাজ গড়ে তোলা হবে। সমাজের সর্বস্তরে দুর্নীতি চেপে বসেছে। জামায়াতে ইসলামী দায়িত্ব পেলে দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়ে তোলা হবে। তৃতীয়ত, সোশ্যাল জাস্টিস। সামাজিক ন্যায়বিচারের দারুণ সংকট আমাদের সমাজে রয়েছে।
আই/এ