ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের অভিযোগে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর বিভাগের ৮ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছে পাঁচ যুগ্ম কর কমিশনার ও তিন উপ-কর কমিশনার।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ থেকে ইস্যু করা পৃথক পৃথক প্রজ্ঞাপন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সাময়িক বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তারা হলেন—কর অঞ্চল-২ এর যুগ্ম কর কমিশনার মাসুমা খাতুন, কর অঞ্চল-১৫ এর মুরাদ আহমদ, কুষ্টিয়া কর অঞ্চলের মোহাম্মদ মোরশেদ উদ্দিন, নোয়াখালী কর অঞ্চলের মোনালিসা শাহরীন সুস্মিতা ও কক্সবাজারের কর অঞ্চলের যুগ্ম কর কমিশনার আশরাফুল আলম প্রধান এবং উপ-কর কমিশনার শিহাবুল ইসলাম, রংপুরের নুসরাত জাহান শমী ও কুমিল্লার উপ-কর কমিশনার ইমাম তৌহিদ হাসান শাকিল।
জানা যায়, সাময়িকভাবে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পাওয়া এসব কর্মকর্তা এনবিআরের সংস্কার আন্দোলনের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিলেন। তবে বরখাস্তের কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে বদলির আদেশ অমান্য করে প্রকাশ্যে তা ছিঁড়ে ফেলা, যা সরকারি চাকরির শৃঙ্খলাবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ২২ জুন জারি করা বদলির আদেশ অবজ্ঞাপূর্বক প্রকাশ্যে ছিঁড়ে ফেলার মাধ্যমে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করায় তাদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক বিভাগীয় কার্যধারা গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর ৩৯(১) ধারা অনুযায়ী এনবিআরের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগপূর্বক চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। সাময়িক বরখাস্তকালীন বিধি এর আগে, গেল ২ জুলাই এনবিআরের চার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়। তারা হলেন—কর বিভাগের সদস্য মো. আলমগীর হোসেন, মূসক নীতির সদস্য ড. মো. আবদুর রউফ, শুল্কনীতির সদস্য হোসেন আহমদ এবং বরিশালের কর কমিশনার মো. শব্বির আহমদ।
এছাড়া গেল ১ জুলাই রাতে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার মো. জাকির হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। বরখাস্তের পর তাকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) হিসেবে এনবিআরে সংযুক্ত করা হয়।
এমএ//