শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেছেন, বাংলাদেশের রপ্তানি সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে ন্যাশনাল হালাল ল্যাবরেটরি স্থাপন একটি সময়োপযোগী ও গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে। এর ফলে রফতানি আরও বৃদ্ধি পাবে।
সোমবার (১৪ জুলাই) বিএসটিআইতে আন্তর্জাতিক মানের অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি সজ্জিত ন্যাশনাল হালাল ল্যাবরেটরি এবং বাংলাদেশে প্রথম ও একমাত্র অত্যাধুনিক হেলমেট টেস্টিং ল্যাবরেটরি-এর উদ্বোধন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, শিল্পখাতকে বহুমাত্রিকভাবে শক্তিশালী করার জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় বিএসটিআইতে অত্যাধুনিক হালাল টেস্টিং ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হয়েছে।
এর আগে বিএসটিআইয়ে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় শিল্প সচিব মোঃ ওবায়দুর রহমান বলেন, সারা পৃথিবীতেই দিন-দিন হালাল পণ্যের চাহিদা বাড়ছে। এমন বাস্তবতায় বিএসটিআই’র হালাল সার্টিফিকেশনের যাত্রা এবং প্রতিষ্ঠানটিতে ন্যাশনাল হালাল ল্যাবরেটরি স্থাপন একটি সময়োপযুগী সিদ্ধান্ত। হেলমেট ক্রয়, বিক্রয় এবং ব্যবহারের আগে বিএসটিআই'র লোগো এবং কিউআরকোড সংযুক্ত কিনা তা যাচাই করার জন্যও সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
মোটরবাইকে রাস্তায় চলাচলে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে তিনি বলেন, মানসম্পন্ন হেলমেট বিএসটিআই’র বাধ্যতামূলক পণ্যের অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে দেশে মানসম্পন্ন হেলমেট যাচাইয়ের নিজস্ব ল্যাব ছিল না। বিশ্বমানের পরীক্ষণ যন্ত্রপাতির মাধ্যমে এখন থেকে দেশে উৎপাদিত ও আমদানি করা হেলমেটের মান যাচাই করা যাবে। এটি ভোক্তা সুরক্ষা নিশ্চিত করার পাশাপাশি সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানি কমাতে সহায়তা করবে।
স্বাগত বক্তব্যে বিএসটিআই’র মহাপরিচালক এস এম ফেরদৌস আলম বলেন, আজকের বিশ্বে হালাল পণ্যের চাহিদা শুধু মুসলিম দেশেই নয়, বরং গ্লোবাল মার্কেট জুড়ে প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। হালাল এখন আর শুধুমাত্র ধর্মীয় অনুশাসনের প্রতিফলন নয়, এটি একধরনের গ্লোবাল কোয়ালিটি স্ট্যান্ডার্ড হয়ে উঠেছে, যা খাদ্য নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য, এবং সচেতন ভোক্তা আচরণের সঙ্গে গভীরভাবে সম্পর্কিত। তিনি আরও বলেন, ন্যাশনাল হালাল ল্যাব এবং দেশের একমাত্র পূর্ণাঙ্গ হেলমেট টেস্টিং ল্যাব আমাদের জাতীয় মান অবকাঠামোকে আরও শক্তিশালী করবে এবং আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বাণিজ্যে আমাদের প্রতিযোগিতামূলক অবস্থানকে আরও সুসংহত করবে। হালাল পণ্যের আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশে এবং রাস্তার নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে এই উদ্যোগ হবে মাইলফলক।
আই/এ