অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ্য করে বিএনপি চেয়াপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেছেন, নির্বাচনের কথা বললেই আপনারা (উপদেষ্টা পরিষদ) গোসসা করেন। গোসসা করাটা ঠিক নয়। একজন নির্বাচিত প্রতিনিধির কাছে মানুষ যখন-তখন যেতে পারে, যখন-তখন কৈফিয়ত চাইতে পারে। কিন্তু আপনাদের কাছে যাওয়ার সেই সুযোগটা নেই। যেটুকু আছে, সেখানেও মাঝখানে দেয়াল তৈরি করে রেখেছে স্বৈরাচারের দোসররা।
শুক্রবার (২০ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘অপরাজেয় বাংলাদেশ’ আয়োজিত যুব সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
আলাল বলেন, ‘আমরা বারবার বলেছি, তারেক রহমান আমাদের বলেছেন, জনগণের সঙ্গে থাকুন এবং জনগণকে সঙ্গে রাখুন। আমরা জনগণের পাশে আছি বলেই নির্বাচনের কথা বলি। নির্বাচনের কথা বললেই আপনারা (উপদেষ্টা পরিষদ) গোসসা করেন। গোসসা করাটা ঠিক নয়’।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া। একটা নতুন প্রজন্ম ২০১৪, ১৮ ও ২৪ সালে নিজেদের অধিকার প্রদর্শন করতে পারেনি। তারা মুখিয়ে আছে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনে ভোট দেয়ার জন্য। তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য মূলত আমরা নির্বাচনের কথা বলি।’
তিনি আরও বলেন, ‘একটা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রশাসনের বিভিন্ন স্তর থেকে ফ্যাসিবাদের দোসরদের যদি পরিষ্কার না করেন, বঙ্গভবন-ইউনিয়ন পরিষদ, গণভবন-সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড পর্যন্ত সব জায়গায় ঘাপটি মেরে লুকিয়ে থাকা এই ফ্যাসিবাদের দোসরদের তালিকা প্রকাশ করে দেবো’।
সরকারের উদ্দেশ্যে এ বিএনপি নেতা বলেন, ‘১০ মাস প্রায় শেষ হওয়ার পথে। আপনারা এখনও পর্যন্ত তেমন কিছু জনগণকে দেখাতে পারেননি। পদে পদে মানুষকে হতাশ করেছেন। জিনিসপত্রের দাম কমেনি, গ্যাসের সংকট অনেক বেশি হয়েছে, বিদ্যুতে লোডশেডিং বেড়েছে, পানি সরবরাহ আগের মতো সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন নেই’।
প্রসঙ্গত, অপরাজেয় বাংলাদেশ সংগঠনের সহ-সভাপতি এম এ আজাদ চয়নের সভাপতিত্বে যুব সমাবেশে আর বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মো. রহমতুল্লাহ।
আই/এ