ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টা মামলার মূল আসামি ফয়সাল করিম মাসুদের মা–বাবাকে গ্রেপ্তার করার কথা জানিয়েছে র্যাব।
গতকাল মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে দেড়টার দিকে র্যাবের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গতকাল ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে র্যাব-১০ ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার হাসনাবাদ হাউজিংয়ে বিশেষ অভিযান চালায়। অভিযানে ফয়সালের বাবা মো. হুমায়ুন কবির (৭০) ও মা মোসা. হাসি বেগম (৬০) গ্রেপ্তার হন।
রাজধানীর পুরানা পল্টন এলাকায় গত শুক্রবার চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে দুর্বৃত্তরা রিকশায় থাকা ওসমান হাদিকে গুলি করে। তিনি ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। হাদিকে গত সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়।
ওসমান হাদির ওপর হামলায় জড়িত মূল সন্দেহভাজন নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ফয়সাল করিম মাসুদ ও তার সহযোগী আলমগীর শেখ। তারা দুজন ভারতে পালিয়ে গেছেন বলে জানিয়েছে তদন্ত-সংশ্লিষ্ট সূত্র।
র্যাবের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, হুমায়ুন-হাসি দম্পতির চার সন্তানের মধ্যে ফয়সল তৃতীয়। ফয়সাল রাজধানীর আগারগাঁওয়ে তার বোন মোসা. জেসমিন আক্তারের বাসায় প্রায়ই যাতায়াত করতেন। ঘটনার দিন রাতে জেসমিনের বাসায় একটি ব্যাগ নিয়ে ওঠেন ফয়সল। পরে বাসার ফাঁকা জায়গা দিয়ে ব্যাগটি ফেলে দেন। আবার আসামি তার ভাগনে জামিলকে (১৮) দিয়ে ব্যাগটি নিয়ে আসেন। আসামি তার ব্যবহৃত দুটি মুঠোফোনের একটি বাসার ছাদ থেকে ফেলে দেন। অন্যটি তার মাকে দেন। সেখানে তিনি তার মা–বাবার সঙ্গে দেখা করেন। সেখানে অবস্থান নিরাপদ মনে না হওয়ায় আসামি ফয়সাল আগারগাঁও থেকে মিরপুর, পরে শাহজাদপুরে বাবা হুমায়ুনের ভাতিজা আরিফের বাসায় যান।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব আরও জানায়, ফয়সালের ব্যাগ নিয়ে তার বাবা হুমায়ুন একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভাড়া করে দেন। সঙ্গে কিছু টাকাও দেন। পরে হুমায়ুন-হাসি দম্পতি ছোট ছেলে হাসান মাহমুদের কেরানীগঞ্জের বাসায় যান। তারা জুরাইন থেকে দুটি সিম কিনে ব্যবহার করেন।
তাদের ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানা গেছে।
এসি//