ঢাকা ৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী ওসমান হাদি হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার কবির মো. কবির মোটরসাইকেলের মালিকানা নিয়ে নতুন তথ্য দিয়েছেন। তিনি বলেছেন মোটরসাইকেলটির মালিক তার বন্ধু। তার পরিচয়পত্র ব্যবহার করে এটি কেনা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তার কবির ওসমান হাদিকে গুলির ঘটনায় প্রধান সন্দেহভাজন ফয়সল করিম মাসুদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকেলে আদলতে রিমান্ড শুনানিতে তিনি এ কথা বলেন।
জানা যায়, আদালতে শুনানিতে কবিরের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। বিচারক কবিরের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনার কিছু বলার আছে?’ তখন কবির বলেন, ‘স্যার, আমি ১৮ দিন আগে ওনার (ফয়সল করিম) গাড়ি (মোটরসাইকেলে ট্রিপ) ও পাঠাও চালাইতাম। উনি আমাকে ফোন দিলে আমি যেতাম। বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যেত। ১৮ দিন আগে ফয়সল আমাকে বলেছে, আমি হাদির সঙ্গে ব্যবসা করি, তার নির্বাচনী প্রচারণায় কাজ করি। তার কাছে যাব। আমি যেতে চাইনি, এরপরও উনি আমাকে নিয়ে গেছেন। এই আমার অপরাধ স্যার।’
এ পর্যায়ে বিচারক প্রশ্ন করেন, মোটরসাইকেলের মালিক কে? জবাবে কবির বলেন, ‘মোটরসাইকেলটা আমার এক বন্ধুর। আমি গাড়ি (মোটরসাইকেল) কিনতে গেছি। সে–ও গাড়ি কিনতে গেছে। সে আমার আইডি (জাতীয় পরিচয়পত্র) দিয়ে গাড়ি কিনছে।’
এসময় বিচারক জানতে চান, সে ব্যক্তির নাম কী? কবির উত্তর দেন, ‘স্যার, মাইনুদ্দিন ইসলাম শুভ।’
তখন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলেন, ওই মোটরসাইকেল ব্যবহার করে ওসমান হাদিকে গুলি করা হয়েছে।
শুনানি শেষে বিচারক কবিরের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক দাবি করে মো. আব্দুল হান্নান নামে একজনকে গ্রেপ্তার ও আদালতের মাধ্যমে রিমান্ডে নেয় পুলিশ। গত রোববার আদালতে রিমান্ড শুনানিতে হান্নান জানিয়েছিলেন, আটকের পর তিনি র্যাবকে বলেছিলেন, তাঁকে শোরুমে নিয়ে যেতে। তাহলে আসল সত্য বেরিয়ে আসবে। পরে পুলিশকেও একই কথা বলেছিলেন। কিন্তু তারা কেউ তাঁর কথা শোনেনি।
মোটরসাইকেলটি তাঁর নয় দাবি করে হান্নান বলেছিলেন, মোটরসাইকেলটি তিনি মিরপুর মাজার রোডের একটি শোরুম থেকে কিনেছিলেন। কিন্তু হাতে সমস্যা হওয়ায় তিনি চালাতে পারছিলেন না। একপর্যায়ে সেটি ওই শোরুমে বিক্রি করে দেন। দুই মাস আগে মালিকানা বদলের জন্য শোরুম থেকে ফোন করা হলেও অসুস্থ থাকায় তিনি যেতে পারেননি।
আই/এ