আন্তর্জাতিক

বিশ্ববাজারে আবারও কমলো স্বর্ণের দাম

ডলারের উত্থান থেমে যাওয়া ও মার্কিন ট্রেজারি বন্ডের ফলন সামান্য হ্রাস পাওয়ায় মঙ্গলবার (০৪ নভেম্বর) বিশ্ববাজারে কমেছে স্বর্ণের দাম। বিনিয়োগকারীরা এখন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন অর্থনৈতিক সূচক প্রকাশের অপেক্ষায় আছেন, যা ফেডারেল রিজার্ভের পরবর্তী সুদের হার সিদ্ধান্তে ভূমিকা রাখতে পারে।

মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্স জানায়, বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টা ৩৯ মিনিটে স্পট গোল্ডের দাম ০.১ শতাংশ কমে দাঁড়ায় আউন্সপ্রতি ৩,৯৯৬.৬৮ ডলার। ডিসেম্বর ডেলিভারির জন্য মার্কিন স্বর্ণ ফিউচারও ০.২ শতাংশ হ্রাস পেয়ে দাঁড়ায় ৪,০০৭.৭০ ডলার।

সুইসকোট ব্যাংকের বিশ্লেষক কার্লো আলবার্তো দে কাসা বলেন, “স্বর্ণ এখন ৪ হাজার ডলারের কাছাকাছি স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই নির্ধারিত হবে দাম ঊর্ধ্বমুখী হবে নাকি আরও কমবে।”

তার মতে, ডলারের সামান্য শক্তিশালী অবস্থান ও সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা হ্রাস পাওয়ায় স্বর্ণের দামে চাপ তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি, বন্ডের ফলন বেড়ে যাওয়াও বাজারে প্রভাব ফেলছে।

মার্কিন ডলার সূচক তিন মাসের সর্বোচ্চ স্পর্শের পর কিছুটা দুর্বল হয়েছে, ফলে অন্যান্য মুদ্রায় স্বর্ণ কেনা তুলনামূলক সস্তা হয়েছে। এদিকে, ১০ বছর মেয়াদি মার্কিন ট্রেজারি বন্ডের ফলনও সোমবারের সর্বোচ্চ স্তর থেকে সামান্য কমেছে।

সম্প্রতি ফেডারেল রিজার্ভ চলতি বছরের দ্বিতীয় দফায় সুদের হার কমালেও চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল জানিয়েছেন, এ বছর আরেকটি হার কমানো নিশ্চিত নয়। বর্তমানে বাজারে ধারণা করা হচ্ছে, ডিসেম্বরের বৈঠকে ফেডের সুদহার কমানোর সম্ভাবনা ৬৫ শতাংশ, যা আগে ছিল ৯০ শতাংশের বেশি।

বিশ্লেষকদের মতে, সুদের হার কমা ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা সাধারণত স্বর্ণের চাহিদা বাড়ায়। ফলে এখন বাজারের নজর বুধবার প্রকাশিতব্য মার্কিন কর্মসংস্থান তথ্য ও আইএসএম পিএমআই রিপোর্টের দিকে।

চলতি বছরে এখন পর্যন্ত স্বর্ণের দাম বেড়েছে প্রায় ৫৩ শতাংশ। তবে ২০ অক্টোবর আউন্সপ্রতি ৪,৩৮১.২১ ডলার সর্বোচ্চ দামের পর থেকে দাম প্রায় ৪০০ ডলার কমে গেছে।

সিটি ইনডেক্সের বিশ্লেষক ফাওয়াদ রাজাকজাদা বলেন, “সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে স্বর্ণ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ টেকনিক্যাল সাপোর্ট লেভেল ভেঙে ফেলেছে। বিশেষ করে ৪ হাজার ডলারের নিচে নেমে যাওয়ার পর বিক্রির চাপ আরও বেড়েছে।”

 

অন্যদিকে, স্পট সিলভার আউন্সপ্রতি ৪৮.০৪ ডলারে অপরিবর্তিত রয়েছে। প্লাটিনাম ০.৩ শতাংশ কমে ১,৫৬১.১৫ ডলার, আর প্যালাডিয়াম ১.৯ শতাংশ কমে ১,৪১৭.০২ ডলারে লেনদেন হচ্ছে।

 

এমএ//

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন