ক্যাম্পাস

মঙ্গলবার জকসু নির্বাচন, ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা জোরদার

প্রতিষ্ঠার পর এই প্রথম জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন। মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনকে ঘিরে ক্যাম্পাসে ইতোমধ্যে উৎসবের আবহ তৈরি হয়েছে। শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু ভোট আয়োজনের লক্ষ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি ও কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ১৬ হাজার ৪৪৫ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ৮ হাজার ৪৭৯ জন এবং পুরুষ ভোটার ৮ হাজার ১৭০ জন। কেন্দ্রীয় সংসদ ও হল সংসদ মিলিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট ১৮৭ জন প্রার্থী।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানায়, ভোট গ্রহণের জন্য সব কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। ৩৯টি কেন্দ্রে স্থাপন করা হয়েছে ১৭৮টি বুথ। ব্যালট পেপারসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম চূড়ান্ত করা হয়েছে। ভোটের দিন প্রতিটি কেন্দ্রে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন থাকবে এবং সার্বক্ষণিক ভ্রাম্যমাণ টিম দায়িত্ব পালন করবে।

জবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক বলেন, নির্বাচন ঘিরে আজ থেকেই ক্যাম্পাস ও আশপাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে।

নির্বাচনের আগে সোমবার ছিল প্রচারণার শেষ দিন। এদিন প্রার্থীদের গণসংযোগ, মতবিনিময় ও ভোটারদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগে মুখর ছিল পুরো ক্যাম্পাস।

ছাত্রশিবির-সমর্থিত অদম্য জবিয়ান ঐক্য প্যানেলের ভিপি প্রার্থী রিয়াজুল ইসলাম বলেন, তারা একটি নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন প্রত্যাশা করেন। এসময় তিনি দ্রুত ভোট গণনা ও ফল প্রকাশের দাবি জানান।

ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের ভিপি প্রার্থী এ কে এম রাকিব বলেন, নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষ ভূমিকা ও শক্ত নিরাপত্তাই একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে পারে।

জাতীয় ছাত্রশক্তি-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ জবিয়ান প্যানেলের ভিপি প্রার্থী কিশোয়ার আনজুম সাম্য নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করলেও শিক্ষার্থীদের ভোটাধিকার প্রয়োগের আহ্বান জানান।

সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট-সমর্থিত মওলানা ভাসানী ব্রিগেড প্যানেলের ভিপি প্রার্থী গৌরব ভৌমিক বলেন, প্রচারণায় ইতিবাচক সাড়া মিলেছে, তবে নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে কিছু সংশয় রয়ে গেছে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশ প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে নিরাপত্তা পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন হবে।

ভোটের দিন কেন্দ্রে প্রবেশের ক্ষেত্রে কেবল অনুমোদিত ভোটার, শিক্ষক ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরাই প্রবেশ করতে পারবেন। এ জন্য নির্ধারিত পরিচয়পত্র বহন বাধ্যতামূলক বলে জানান তিনি।

 

এমএ//

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন #নির্বাচন #জকসু