ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহিদ শরিফ ওসমান হাদি হত্যার ঘটনায় প্রধান দুই সন্দেহভাজন ভারতে পালিয়ে গেছে বলে জানিয়েছিল ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি)। তবে এমন দাবিকে সরাসরি অস্বীকার করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। বিএসএফ বলছে, এই বক্তব্য সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিকর।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) ভারতের সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানায়, মেঘালয় সীমান্ত দিয়ে হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিরা ভারতে প্রবেশ করেছে—ডিএমপির এমন দাবির কোনো সত্যতা নেই বলে জানিয়েছে বিএসএফ।
বিএসএফ জানিয়েছে, মেঘালয় সেক্টরে সাম্প্রতিক সময়ে কোনো অনুপ্রবেশ, গ্রেপ্তার কিংবা অবৈধ সীমান্ত পারাপারের ঘটনা ঘটেনি।
মেঘালয়ে বিএসএফের ইন্সপেক্টর জেনারেল ওপি উপাধ্যায় সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেন, “এ ধরনের দাবি পুরোপুরি বানোয়াট ও বিভ্রান্তিকর। এর পক্ষে কোনো প্রমাণ নেই।”
তিনি আরও জানান, বাংলাদেশি কিছু গণমাধ্যমে মেঘালয় পুলিশের পক্ষ থেকে গ্রেপ্তারের যে কথা বলা হয়েছে, সেটিও যাচাই করে অসত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে। মেঘালয় পুলিশ নিজ এমন ঘটনার কথা অস্বীকার করেছে।
বিএসএফের আইজি আরও বলেন, বিজিবি একটি পেশাদার বাহিনী এবং সীমান্ত এলাকায় নজরদারি অত্যন্ত কঠোর। ঢাকা থেকে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দূরের সীমান্ত দিয়ে সন্দেহভাজনদের নির্বিঘ্নে ভারতে ঢুকে পড়ার দাবি বাস্তবসম্মত নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এর আগেও ডিএমপির দাবি নাকচ করে মেঘালয় রাজ্য পুলিশ জানায়, হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তার বা সীমান্ত অতিক্রমের বিষয়ে তাদের কাছে নিশ্চিত কোনো তথ্য নেই। মেঘালয় পুলিশের মহাপরিদর্শক ইদাশিশা নংরাং স্থানীয় গণমাধ্যমকে বিষয়টি স্পষ্টভাবে অস্বীকার করেন।
উল্লেখ্য, ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এস এন নজরুল ইসলাম গতকাল রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেছিলেন, গোয়েন্দা তথ্য ও গ্রেপ্তারকৃতদের জবানবন্দির ভিত্তিতে জানা গেছে—হত্যাকাণ্ডের পর ফয়সাল ও আলমগীর নামের দুই প্রধান আসামি বিভিন্ন পথে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যায়। এমনকি মেঘালয় পুলিশ তাদের সহযোগীদের গ্রেপ্তার করেছে বলেও ডিএমপি দাবি করেছিল।
এমএ//